• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০১৯, ০৩:৩৩ পিএম

বিশ্বব্যাংকের প্রক্ষেপণ ও বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি

বিশ্বব্যাংকের প্রক্ষেপণ ও বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি
এম এ খালেক। ফাইল ছবি।

 

বিশ্বব্যাংক তাদের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে এক ধরনের মন্থরতা দেখা যেতে পারে। এ সময় বিশ্বের বেশির ভাগ দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে পড়তে পারে। এমনকি কোনো কোনো দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কিছুটা হ্রাস পেতে পারে। তবে বাংলাদেশের মতো সামান্য কয়েকটি দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকবে। সংস্থাটি চলতি বছরে বাংলাদেশ ৭ শতাংশ বা তারও কিছু বেশি হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। তারা আরও বলেছে, এ বছর বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ৯টি প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশ হবে অন্যতম। দক্ষিণ এশিয়া এবং আফ্রিকান দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে যে প্রক্ষেপণ করেছে, তা সরকার নির্ধারিত জিডিপি প্রবৃদ্ধির হারে চেয়ে ১ শতাংশ কম। সরকার আশা করছে, এ বছর বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশ অতিক্রম করে যাবে। প্রতি বছরই বাংলাদেশ সরকারের জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলনের চেয়ে বিশ্বব্যাংকের প্রাক্কলিত প্রবৃদ্ধির হার কম থাকে। সরকার প্রবৃদ্ধির যে হার প্রকাশ করে, বিশ্বব্যাংক তার সঙ্গে প্রতি বছরই দ্বিমত প্রকাশ করে থাকে। তবে এবারই প্রথম বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ ৭ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বলে প্রাক্কলন করেছে। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংক প্রকারান্তরে বাংলাদেশের ইতিবাচক অর্থনৈতিক ধারার স্বীকৃতি দিয়েছে। তারা বলেছে, যে ৯টি দেশ উচ্চমাত্রায় জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ বিশ্ব জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে শীর্ষস্থানীয় ১০টি দেশের মধ্যে অন্যতম ছিল। এবার তা থেকে একধাপ এগিয়েছে।

চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশার চেয়ে কিছুটা কম হতে পারে। কারণ গত বছর ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে বাজেট বাস্তবায়নের হার ছিল তুলনামূলক মন্থর এবং উন্নয়নের গতিও কিছুটা স্তিমিত ছিল। ফলে চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার কিছুটা কম হতে পারে। তা সত্ত্বেও বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে যে প্রক্ষেপণ করেছে, তা উৎসাহব্যঞ্জক। বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে যে সাফল্য প্রদর্শন করেছে, তা বিস্ময়কর বটে। বাংলাদেশ নিকটপ্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়েও অনেক ক্ষেত্রে সাফল্য প্রদর্শন করে চলেছে। বাংলাদেশ শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রেই যে সাফল্য দেখিয়ে চলেছে তা নয়, একই সঙ্গে অর্থনীতির অন্যান্য সূচকেও ভালো করছে। বাংলাদেশ অনেক দিন ধরেই বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে চমৎকার সাফল্য দেখিয়ে চলেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের পরিমাণ ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে ওঠানামা করছে। এটা সার্ক দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। একমাত্র ভারত আমাদের চেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণ করছে। বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানির প্রধান গন্তব্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় নানা ধরনের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক বাজারে জ¦ালানি তেলের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়ার পরও রেমিট্যান্স আহরণের হার ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। এ বছর জনশক্তি রফতানি খাত থেকে অর্জিত রেমিট্যান্সের পরিমাণ রেকর্ড সৃষ্টি করতে পারে। পণ্য ও সেবা রফতানি খাতে আয় অব্যাহতভাবে বেড়ে চলেছে। আগামী দিনগুলোয় বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণের মাথাপিছু গড় জাতীয় আয় বাড়ছে। গত অর্থবছরের হিসাব অনুসারে জনগণের মাথাপিছু গড় জাতীয় আয় ১ হাজার ৭০০ মার্কিন ডলারের বেশি হয়েছে। এটা একটি রেকর্ড। অতীতে মাথাপিছু গড় জাতীয় আয় এতটা স্ফীত হয়নি।

আগামীতে বাংলাদেশ অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে আরও সাফল্য অর্জন করবে, এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যেতে পারে। কিন্তু শুধু গড় মাথাপিছু জাতীয় আয় বৃদ্ধি বা উচ্চমাত্রায় জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনই বড় কথা নয়। অর্জিত প্রবৃদ্ধির সুফল সাধারণ মানুষ ন্যায্যতার ভিত্তিতে ভোগ করতে পারছে কিনা, সেটাই বিবেচ্য। কারণ প্রবৃদ্ধি বা অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুফল যদি সামান্য কিছু মানুষের হাতে গিয়ে জমা হয়, সেই প্রবৃদ্ধি কখনোই কাম্য হতে পারে না। কারণ সমাজে সুষম বণ্টন ব্যবস্থার অনুপস্থিতি থাকলে নানা ধরনের সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। সমাজে আয়বৈষম্য বৃদ্ধি পায়। বাংলাদেশে বর্তমানে চরম আয়বৈষম্য বিরাজ করছে। ফলে উন্নয়নের সুফল সবাই ন্যায্যতার ভিত্তিতে ভোগ করতে পারছে না। গিনি কোয়েফিসিয়েন্টের তথ্য অনুযায়ী, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের মানুষের আয়বৈষম্য ছিল অনেকটাই সহনীয় পর্যায়ে। বর্তমানে এ আয়বৈষম্য চরম আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে চাঙ্গা রয়েছে। অর্থনীতির সব প্রায় সব সূচকই এখন ঊর্ধ্বমুখী ধারায় রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও উন্নয়নের সুফল সবাই সমতার ভিত্তিতে ভোগ করতে পারছে না। অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্জন বর্তমানে বাংলাদেশের কোনো সমস্যা নয়, সমস্যা হচ্ছে সেই অর্জনের ফল সবার জন্য ন্যায্যতার ভিত্তিতে ভোগের ব্যবস্থা করা। বর্তমানে এমন একটি অবস্থা বিরাজ করছে, যেখানে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুফল একটি বিশেষ শ্রেণির নিকট গিয়ে জমা হচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষ, যাদের আর্থিক অবস্থা উন্নয়নের কথা ছিল তারা হচ্ছে বঞ্চিত।

কিছুদিন আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েলথ এক্স-এর এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, বিশ্বের সব দেশেই অতি ধনিকশ্রেণির সংখ্যা বাড়ছে। তবে এ বৃদ্ধির হার বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৭ শতাংশ হারে অতি বিত্তবানের সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩ কোটি মার্কিন ডলার বা আড়াই শত কোটি টাকার মালিকদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বাংলাদেশে। ২০১৭ সালের পূর্ববর্তী ৫ বছর সময়ে বাংলাদেশে অতি বিত্তবানের সংখ্যা বেড়েছে ১৭ শতাংশ হারে। বিশ্বের আর কোনো দেশে অতি বিত্তবানের সংখ্যা এতটা বাড়েনি। বিশ্বের ৭৫টি দেশকে বিবেচনায় নিয়ে এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রণয়ন করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের ক্ষেত্রে এ বৃদ্ধির হার এত বেশি নয়। এটা বিস্ময়করই বটে যে, বাংলাদেশের মতো একটি উদীয়মান অর্থনীতিতে অতি বিত্তবান মানুষের সংখ্যা এভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো পুঁজিবাদী দেশ, এমনকি চীনের মতো নব্য উদার অর্থনীতির দেশকেও বাংলাদেশ পিছনে ফেলে দিয়েছে। বাংলাদেশের যে আইনি কাঠামো, সেখানে বৈধভাবে অতি বিত্তবান হওয়ার সুযোগ নেই বললেই চলে। তা হলে এরা কিভাবে বিত্তের পাহাড় গড়ে তুলছে। একই সংস্থা তাদের অন্য এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, আগামী পাঁচ বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দ্রুতগতিতে বিত্তবানের সংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। এ বৃদ্ধির হার বাংলাদেশের ক্ষেত্রে হবে অত্যন্ত দ্রুতগামী। বিত্তবান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান হবে তৃতীয়। আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশে বিত্তবানের সংখ্যা বাড়বে ১১ দশমিক ৪ শতাংশ হারে। ১০ থেকে ৩০ লাখ মার্কিন ডলার (৮ কোটি থেকে ২৫ কোটি টাকা) সম্পদের মালিক ব্যক্তি ও পরিবারকে এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিত্তবান বৃদ্ধির তালিকার শীর্ষে রয়েছে নাইজেরিয়া। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মিসর। তাদের বিত্তবান বৃদ্ধির হার থাকবে ১২ শতাংশ। তারপরই বাংলাদেশের অবস্থান। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর খানা আয় জরিপ-২০১৬ থেকে প্রতীয়মান হয়, ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৬ বছরে দেশের সবচেয়ে বিত্তবান ৫ শতাংশ মানুষের আয় বেড়েছে ৫৭ শতাংশ। তাদের মাসিক আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৮ হাজার ৯৪১ টাকা। অন্যদিকে সবচেয়ে দরিদ্র ৫ শতাংশ মানুষের আয় হ্রাস পেয়েছে প্রায় ৫৯ শতাংশ। ২০১০ সালে তাদের প্রকৃত মাসিক আয় ছিল ১ হাজার ৭৯১ টাকা। ২০১৬ সালে এসে তা ৭৩৩ টাকায় হ্রাসপ্রাপ্ত হয়েছে। গিনি সহগ অনুযায়ী, ২০১৬ সাল বাংলাদেশের মানুষের আয়বৈষম্য ছিল শূন্য দশমিক ৪৮৩। এটা শূন্য দশমিক ৫ অতিক্রম করে গেলে তাকে ভয়াবহ অবস্থা হিসেবে আখ্যায়িত করা যেতে পারে। বাংলাদেশ আয়বৈষম্যের ক্ষেত্রে এখন ভয়াবহ অবস্থার মুখোমুখি হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ উচ্চমাত্রায় জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে এতে কোনোই সন্দেহ নেই। তবে সেই প্রবৃদ্ধি কতটা জনকল্যাণমূলক, তা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হতেই পারে। প্রবৃদ্ধি যদি জনকল্যাণমূলক এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী না হয়, তা হলে সেই প্রবৃদ্ধি শুধু সামাজিক বৈষম্য এবং আয় বা বণ্টন বৈষম্য সৃষ্টি করে। বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশের জন্য উৎপাদনশীল খাত থেকে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে প্রতি শতাংশ প্রবৃদ্ধির জন্য জিডিপির অন্তত সাড়ে ৪ হতে ৫ শতাংশ বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে। বিশেষ করে সেই বিনিয়োগ হতে হবে ব্যক্তি খাতে। বাংলাদেশের বিনিয়োগের হার হচ্ছে জিডিপির ৩১ শতাংশের মতো। এর মধ্যে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ অনেক দিন ধরেই ২১/২২ শতাংশে ওঠানামা করছে। দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকলেও এক ধরনের অনিশ্চয়তা সব সময়ই বিরাজ করছে। ফলে ব্যক্তি খাতের উদ্যোক্তাদের অনেকেই নতুন করে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণে দ্বিধান্বিত রয়েছেন। সরকারি খাতে বিনিয়োগ হচ্ছে, কিন্তু সেই বিনিয়োগ কাক্সিক্ষত মাত্রায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারছে না। এ ছাড়া সরকারি খাতে যে বিনিয়োগ হয়, সেখানে দুর্নীতির প্রাধান্য থাকে। অনেকেই অভিযোগ করে থাকেন, বর্তমানে বাংলাদেশ যে প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে তা অনেকটাই কর্মসংস্থানবিহীন প্রবৃদ্ধি। কর্মসংস্থানবিহীন প্রবৃদ্ধি একটি দেশের অর্থনীতির জন্য ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে।

উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হলেও সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে তেমন কোনো সফলতা দেখাতে পারছে না। ফলে উন্নয়নের সুফল মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের হাতে চলে যাচ্ছে। সামান্য কিছু মানুষ, যারা নানাভাবে রাজনৈতিক আনুকূল্য এবং আশ্রয়-প্রশ্রয় পাচ্ছে- তারা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে। বিত্তহীন মানুষ আরও বিত্তহীন হয়ে যাচ্ছে। দুর্নীতি সহনীয় মাত্রায় কমিয়ে আনা গেলে বর্তমান অবস্থাতেই জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার আরও আড়াই থেকে তিন শতাংশ বাড়ানো সম্ভব বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করেন। দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য সবার আগে প্রয়োজন সত্যিকার রাজনৈতিক অঙ্গীকার বা কমিটমেন্ট। চলতি মেয়াদে নির্বাচনের প্রাক্কালে ঘোষিত নির্বাচনি ইশতেহারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণের অঙ্গীকার করেছে। এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম যে কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনি ইশতেহারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের অঙ্গীকার করল। আগামীতে সরকারকে এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে হবে। কোনো কারণে তারা দুর্নীতি কমানোর বিষয়ে ব্যর্থতার পরিচয় প্রদান করে, তা হলে আগামী নির্বাচনের সময় জনগণের নিকট জবাবদিহি করতে হবে। কাজেই সরকারকে এখন থেকে সব ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।


এম এ খালেক : বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সাবেক জিএম এবং অর্থনীতিবিষয়ক কলাম লেখক