• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯, ০৮:১৫ পিএম

মহাসড়কে বসবে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রক স্কেল

মহাসড়কে বসবে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রক স্কেল
ফাইল ফটো


দেশের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে বিশাল অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করছে বর্তমান সরকার। তবুও মহাসড়ক খানা-খন্দে ভরপুর। সরকারের নেয়া এসব সংস্কার কাজের সুফল পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। কয়েকদিন পরপর নতুন রাস্তা ভেঙ্গে যাচ্ছে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে সড়কে অনিয়ন্ত্রিতভাবে মাত্রাতিরিক্ত ওজন নিয়ে চলা যানবাহন।

এ পরিস্থিতিতে মহাসড়ক বাঁচাতে সরকার সারাদেশে মহাসড়কগুলোতে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রক স্কেল বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। ২১টি মহাসড়কে এসব লোড নিয়ন্ত্রক স্কেল বসানো হবে। এই প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, দেশের সড়ক মহাসড়কে চলাচলে কোন ধরনের গাড়িতে সর্বোচ্চ কত পরিমাণ ওজন বহন করা যাবে সে বিষয়ে নীতিমালা রয়েছে। অনুমোদন হওয়া মোটরযানের এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র পরিচালনা-সংক্রান্ত নীতিমালা'  নীতিমালা অনুযায়ী, সামনে দুই চাকা আর পেছনে চার চাকা আছে এমন গাড়ি সর্বোচ্চ সাড়ে ১৫ টন ভার বহন করতে পারবে। এর বেশি বহন করলে আইনত ব্যবস্থা নেয়ার বিধান রয়েছে। এছাড়া আট চাকার গাড়ি সোয়া ১৬টন মালামাল নিতে পারবে ও ১০ চাকার গাড়ি সোয়া ১৮ টন পর্যন্ত মাল বহন করতে পারবে। অন্যান্য গাড়ির ক্ষেত্রেও ওজনের সীমা নির্ধারণ করা রয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ গাড়িই তা মানছে না।

সূত্র আরো জানায়, বছর না পেরুতেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার প্রকল্পের সংস্কারে নতুন বরাদ্দ দিতে হয়েছে। একই অবস্থা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কেরও। জয়দেবপুর চৌরাস্তা থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত চার লেন তৈরি ও বর্তমান সড়কটি উন্নত করার একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এছাড়া চলতি অর্থ বছরে  রাজশাহী-রংপুর, সিলেট-জাফলং, গোলাপগঞ্জ-জকিগঞ্জ, যশোর-নড়াইল সড়ক মেরামতেও প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এভাবে চলতি বছরের এডিপিতে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের মানোন্নয়নে অনেক প্রকল্প নিয়েছে সরকার। ফলে সরকারের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটির সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ  ড. এস এম সালেহ উদ্দীন বলেন, গাড়ির লোডিং সিস্টেম যদি নিয়ন্ত্রণ না করা যায়, তাহলে কোটি কোটি টাকা খরচ করে রাস্তা নির্মাণে কোন লাভ হবে না। এ দেশে বৃষ্টি হয়, আদ্রতাও বেশি। সেখানে ওভার লোডিং গাড়ি চললে সড়কের বিশাল ক্ষতি হবেই হবে।

জানা গেছে, দেশে বিভিন্ন শ্রেণির সড়কের মোট দৈর্ঘ্য ২১ হাজার ৩০২ কিলোমিটার। এর মধ্যে জাতীয় মহাসড়কের দৈর্ঘ্য যথাক্রমে ৩ হাজার ৮১৩ কিলোমিটার। আর ৪ হাজার ২৪৭ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ক। বাকি ১৩ হাজার ২৪২ কিলোমিটার জেলা সড়ক।

সাধারণত ১০ থেকে ২০ বছর মেয়াদে সড়কগুলো নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সড়কে মাত্রাতিরিক্ত গাড়ি চলাচলের কারণে তা টেকসই হচ্ছে না। এজন্য ওয়েব নির্ভর মনিটরিং সিস্টেম ও আধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রক কেন্দ্র স্থাপন আবশ্যক বলে মনে করে সড়ক মহাসড়ক বিভাগ। প্রকল্প ব্যয়ের পুরো টাকাই সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে বরাদ্দ দেয়া হবে।

আরআই