• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২২, ১২:০২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২, ০৬:৫৯ এএম

ওই মহামানব আসে...

ওই মহামানব আসে...
মহামানব আসছেন তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দানে। ফাইল ফটো।

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পূর্বাঞ্চলীয় ভারতীয় বাহিনী ও বাংলাদেশ বাহিনীর সর্বাধিনায়ক লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার নিকট পাকিস্তান বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের সর্বাধিনায়ক ও জোন-বি এর সামরিক আইন প্রশাসক লে. জেনারেল আমির আবদুল্লাহ নিয়াজীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয় সূচিত হয়। কিন্তু বাঙালির বিজয় যেন পূর্ণতা পায়নি। তখনো বাঙালির বিজয়ের মধ্যে যেন বিষাদ। কেননা, যার জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন, সার্বভৌম তিনি তখনো পাকিস্তানের কারাগারে পাক হায়েনাদের হাতে বন্দি। আসলে বঙ্গবন্ধুর অবস্থান, জীবিত না মৃত কিছুই জানত না এদেশবাসী। এসব নিয়ে গণমাধ্যমে লেখালেখি চলছিল। তবুও অনেকে বঙ্গবন্ধু যাতে জীবিত সশরীরে তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলায় ফিরে আসতে পারেন সে জন্য রোজা রেখেছে, উপবাস থেকেছে, মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডায় বিশেষ প্রার্থনা করেছে।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে পাকিস্তান বর্বর বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালি জাতির ওপর গণহত্যা শুরু করলে বঙ্গবন্ধু ওই রাতেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর সহকর্মীদের অনেকেই তাঁকে তখন পালাতে বা আত্মগোপনে চলে যেতে পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষকে বিপদের মুখে রেখে আমি পালাবো না। পরক্ষণেই পাক হানাদার বাহিনী তাঁর বাসভবন থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে। গোপনে তাঁকে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মিয়ানওয়ালী কারাগারের এক নির্জন ও পরিত্যক্ত সেলে (লায়ালপুর, ফয়সালাবাদের কাছে) বন্দি রাখা হয়। সেখানে তিনি ছিলেন সারা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন। তাঁকে কোনও পেপার-পত্রিকা, রেডিও কিছুই দেয়া হয়নি। খাবার হিসেবে তিন বেলা রুটি এবং ডাল দেয়া হতো। মাঝে-মধ্যে দুই এক টুকরো মাংস দেয়া হতো। চাহিদা মতো একটু চা-ও দেয়া হতো না। এসবের উদ্দেশ্য ছিল শারীরিক ও মানসিকভাবে যাতে বঙ্গবন্ধু ভেঙ্গে পড়েন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন শক্ত ও দৃঢ় চিত্তের মানুষ। তিনি ভেঙ্গে পড়েননি। তবে তাঁর স্বাস্থ্য অনেক খারাপ হয়ে গিয়েছিল, ওজন অনেক কমে গিয়েছিল।

২৬ মার্চের বেতার ভাষণে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বাসঘাতক ও দেশদ্রোহী আখ্যা দেন। ১১ আগস্ট তাঁর বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুকে বিচারের জন্য পাঁচ সদস্যের এক সামরিক আদালত গঠন করা হয়। পাঁচ সদস্যের বিচারকের মধ্যে একজন ছিলেন বেসামরিক সদস্য। গুরুতর বারোটি অভিযোগ আনা হয়। প্রধান অভিযোগ ছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা, যুদ্ধ পরিচালনা। এসব অভিযোগের নূন্যতম শাস্তি ছিল মৃত্যুদণ্ড। পাকিস্তানের বিখ্যাত আইনজীবী এ কে ব্রোহি বঙ্গবন্ধুর অনুরোধে তাঁর আইজীবী হন। তবে ইয়াহিয়ার ২৬ মার্চের ভাষণের রেকর্ড শোনার পর বঙ্গবন্ধু আত্মপক্ষ সমর্থনের অস্বীকৃতি জানান। ১ ডিসেম্বর বিচারকার্য শেষ হয় এবং ৪ ডিসেম্বর রায় ঘোষিত হয়। কারাগারে বঙ্গবন্ধুর জন্য কবর খোঁড়া হয়। বঙ্গবন্ধুকে এ খবর দেয়া হলে তিনি বলেছিলেন, আমি মুসলমান। আমি জানি, মুসলমানমাত্র একবারেই মরে, দুইবার নয়। তাই আমি ঠিক করেছিলাম ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার সময় বলব, আমি বাঙালি, বাংলা আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা, জয় বাংলা। তোরা আমার লাশটাকে এখানে কবর দিস না, বাংলায় পাঠায়ে দিস। বঙ্গবন্ধুকে যখন গ্রেফতার করে, চোখ বেঁধে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয় তখনো তিনি ঢাকার তেজগাঁও বিমান বন্দরের মাটি স্পর্শ করে বলেছিলেন, এ মাটিতে আমার যেন মৃত্যু হয়। একজন লোক তার দেশকে কতখানি ভালোবাসলে এমন কথা মৃত্যুর মূহুর্তেও উচ্চারণ করতে পারেন তা সহজেই অনুমেয়। তবে বেসামরিক বিচারক অনিবার্য কারণে অনুপস্থিত থেকে সিদ্ধান্ত প্রদানে বিরত থাকেন। প্রহসনমূলক বিচারের নামে তাঁকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়। কিন্তু তাঁর বিচার বন্ধ ও মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশের পাশাপাশি সারা বিশ্ব সোচ্চার হয়ে ওঠে। বঙ্গবন্ধুর মুক্তির ব্যাপারে বিশ্বের শক্তিধর দেশ, জাতিসংঘ ও অন্যান্য সংস্থা, বিশ্বের তাবৎ জনগণ এবং এমনকি পাকিস্তানের বহু রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীর চাপ ছিল। বিশেষত তাঁর মুক্তির জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকা ছিল অনন্য।

২০ ডিসেম্বর, ১৯৭১ পাকিস্তান সরকারের পরিবর্তন ঘটে। পিপিপি প্রধান জেড এ ভুট্টো পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হন। তিনি সাংবাদিকদের কাছে বঙ্গবন্ধুর অবন্থান তুলে ধরেন। বিশ্বের গণমাধ্যমসমূহ তাঁর মুক্তির ব্যাপারে উন্মুখ ছিল। নিউইয়র্ক টাইমস তাঁর মুক্তির খবর প্রকাশ করে জানায় যে, ২২ ডিসেম্বর পাকিস্তানের কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিয়ে অজ্ঞাত স্থানে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। তবে ইয়াহিয়া খান ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় ভুট্টোকে পেছনের তারিখ দিয়ে শেখ মুজিবকে হত্যার প্রস্তাব দেন। ভুট্টো তাতে রাজি হননি। কারণ, পাকিস্তানের ৯৩ হাজার সৈন্য বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথবাহিনীর কাছে বন্দি। এছাড়া বাংলাদেশে রয়েছে পাকিস্তানের বহু বেসামরিক কর্মকর্তা, রয়েছে পাকিস্তান সমর্থক কয়েক লক্ষ অবাঙালি। এদের কথা চিন্তা করে তিনি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে চাননি। তিনি এ-ও আশা করেছিলেন যে, দেখি আলাপ করে পাকিস্তানের অখণ্ডতা টিকিয়ে রাখা যায় কি না। ২৩ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধুকে প্রেসিডেন্ট ভুট্টোর সাথে বৈঠকের জন্য রাওয়ালপিন্ডি আনা হয়। ভুট্টো মুজিবকে অভিনন্দন জানিয়ে বললেন, মুজিব, তুমি তো এখন পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। মুজিব বললেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসেবে আমি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, পূর্ব পাকিস্তানের নয়। হাসি-ঠাট্টার পর ভুট্টো বঙ্গবন্ধুকে যে কোনো মূল্যে পাকিস্তানের অখণ্ডতা টিকিয়ে রাখার আহবান করেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুও কৌশলে উত্তর দেন যে, তিনি তো অনেক দিন কারাগারে আটক আছেন। এ ব্যাপারে তাঁকে জনগণের সাথে বোঝাপড়া করতে হবে। তাদের সাথে আলোচনা না করে তিনি কোনো প্রতিশ্রুতি দিতে পারবেন না। ভুট্টো পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে অন্তত কনফেডারেশন গঠনের প্রস্তাব দেন। এমনকি এজন্য তাঁকে (বঙ্গবন্ধুকে) প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণের প্রস্তাব দেয়া হয়। মার্কিন, বৃটিশ, জাপানি প্রভৃতি পত্রিকায় ২৭ ও ২৯ তারিখ ভুট্টোর সাথে বঙ্গবন্ধুর দুইটি বৈঠকের খবর প্রকাশিত হয়। ১ জানুয়ারি ভয়েস অব আমেরিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ভুট্টো ঐক্য ও সমঝোতার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সাংবাদিক রবার্ট পেইনের ভাষ্যমতে মুজিবের সাথে বৈঠকে ভুট্টো কোনো চুক্তি কিংবা এ জাতীয় কোনো সুবিধা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তাঁকে মুক্তির সিদ্ধান্ত নেন। তবে তাঁর মুক্তির তারিখ ঘোষণা করা হয়নি। তারপরও ভুট্টো আশা ছাড়েননি। ৬ জানুয়ারি গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ভুট্টো বলেন, দুই পাকিস্তানের ঐক্যের  স্বার্থে তিনি খুব শিগগির ঢাকা সফর করবেন।

এক সময় ভুট্টো বঙ্গবন্ধুকে ইরান বা তুরস্ক যাওয়ার প্রস্তাব দিলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ, ঐসব দেশ বঙ্গবন্ধুকে ফেরত নাও দিতে পারে। কোনো ষড়যন্ত্রে ফেলতে পারে। অনেক দর কষাকষির পর পাকিস্তান বঙ্গবন্ধুকে লন্ডনে পাঠাতে রাজি হয়।  বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি মুক্ত হন এবং ড. কামাল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ৯ জানুয়ারি ভোরে বঙ্গবন্ধু লন্ডন পৌঁছান। সেখানে তিনি বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিবর্গ ও সাংবাদিকদের সাথে বৈঠক করেন। বৈঠকে পাক বাহিনীর অত্যাচার প্রসঙ্গ এবং বাংলাদেশের স্বীকৃতি, পুনর্গঠন ও জাতিসংঘের সদস্যপদ প্রাপ্তিতে যুক্তরাজ্যের সহায়তা কামনা করেন।

১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু ঢাকার পথে রওনা দেন। সঙ্গী হলেন কুটনৈতিক শশাঙ্ক এস ব্যানার্জী, লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসে কর্মরত। তিনিও বাংলাদেশ আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলেন। নয় বছর আগে ১৯৬২ সালে তাঁর মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধু নেহরুকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। সাইপ্রাসের অ্যাক্রাতিরিতে বৃটিশ বিমান ঘাটিতে বিমানে তেল নেয়ার সময় শশাঙ্ক দেখলেন, বঙ্গবন্ধু দাঁড়িয়ে গাইছেন, আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি। যাত্রাপথে দিল্লিতে নামেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতিসহ উচ্চপদস্থদের সাথে তিনি বৈঠক করেন। তিনি জনসভায় ভাষণ দেন এবং সাহায্যের জন্য ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ও আরো সহায়তা কামনা করেন। দিল্লি থেকে স্বদেশের পথে বঙ্গবন্ধু গাইতে লাগলেন,

এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি,
সকল দেশের রানী সে যে আমার জন্মভূমি।

আবার গুনগুন করে আবৃত্তির সুরে গাইছেন, মোদের গর্ব মোদের আশা, আমরি বাংলা ভাষা। এমনি গান করতে করতে তিনি পৌঁছে যান ঢাকা বিমান বন্দরে। বিমানের জানালা দিয়ে নিচে জনসমুদ্র দেখা যাচ্ছিল। তিনি দেখলেন, দেখে কেঁদে ফেলেছিলেন অভিভূত হয়ে। সাংবাদিক আতাউস সামাদ বিমানে ছিলেন পাশের সিটেই। তিনি শুনলেন শেখ মুজিবুর রহমান বলছেন, ‘এত মানুষ! ওরা আমাকে এত ভালোবাসে; কিন্তু আমি ওদেরকে খাওয়াব কী করে?।’’ তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে এ-ও বলেছিলেন, কবি গুরু তুমি বলেছিলে,

সাত কোটি  সন্তানেরে হে মুগ্ধ জননী,
রেখেছ বাঙালি করে, মানুষ করনি।

কবি গুরুর কথা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আজ আমার বাঙালি মানুষ হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ সেদিন জড়ো হয়েছিল তাঁকে বরণ করে নেয়ার জন্য, তাঁকে এক নজর দেখার জন্য। জনতার ভীড় ঠেলে তাঁকে রেস কোর্স ময়দানে পৌঁছতে সময় লেগেছিল দুই ঘন্টা। ঐ দিনই রমনা রেসকোর্স ময়দানে তিনি সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে আবারও ভাষণ দেন। এভাবে প্রায় ১০ মাস পর বাঙালি জাতি ফিরে পেল তার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তানকে।

বঙ্গবন্ধু স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করার পর দেশবাসী স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। তিনি যদি ফিরে না আসতে পারতেন, তাহলে বাঙালির কপালে কী ছিল বলা মুশকিল, বাংলাদেশের স্বাধীনতা টিকত কি না সন্দেহ ছিল। তিনি ফিরে না এলে বাঙালি সামরিক-বেসামরিক সকল নেতৃবৃন্দ নিজেকে রাজা মনে করত। কে মানত কাকে? কে শুনত কার কথা? তিনি ফিরে না এলে কি সকলে অস্ত্র জমা দিত? দেয়ওনি। তাজউদ্দিন আহমেদ সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট অস্ত্র সমর্পণের আহবান জানালে কেউ অস্ত্র সমর্পণ করেননি। তাঁদের কথা ছিল যার আহবানে অস্ত্র হাতে নিয়েছি শুধু তাঁর কাছেই অস্ত্র সমর্পণ করব, অন্য কারো কাছে নয়। বঙ্গবন্ধু ফিরে আসার পর সকলে অস্ত্র সমর্পন করতে লাগল। আমার মনে হয়, তিনি ঐ সময়ে ফিরে আসতে না পারলে বাঙালি আত্মকলহে লিপ্ত হতো, গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ত, বাংলাদেশের স্বাধীনতাও ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে যেত। ২৯০ দিনের পাকিস্তানের নির্জন কারাবন্দি জীবনের অবসান ঘটিয়ে বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি যখন স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন, সেদিন তিনি ছিলেন শারীরিকভাবে অসুস্থ্য, আবেগে আপ্লুত, আনন্দ বেদনার অশ্রুধারা ঝরছিল তাঁর দুই নয়ন বেয়ে। জনতাও ছিল আবেগে আপ্লুত। লক্ষ জনতার কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছিল জয় বাংলা- জয় বঙ্গবন্ধু। সে মুহূর্তে তিনি জনতার উদ্দেশ্যে ১৭ মিনিটের এক আবেগঘন ভাষণ দেন। এ ভাষণটি ছিল আদর্শিক, দিকনির্দেশনামূলক এক ধ্রুপদী বাণী। ছিল দেশ শাসনে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতিশ্রুতি।[উৎস: রেজাউল করিম, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ অভিন্ন সত্তা]

 

লেখক•সহযোগী অধ্যাপক, ইতিহাস বিভাগ, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ, ফরিদপুর।

 

দ্রষ্টব্যঃ প্রকাশিত লেখাটি লেখকের একান্ত নিজস্ব মতামত এবং এর দায়-​দায়িত্বও লেখকের একান্ত নিজস্ব।