বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক মানবাধিকার রিপোর্টে বাংলাদেশ নিয়ে যা বলা হয়েছে তাতে বোঝা যাচ্ছে আমাদের বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে বিশ্বাবাসী উদ্বিগ্ন। 

তিনি বলেন, বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক দেশ বিগত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে প্রত্যাখান করেছে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সব মামলা মিথ্যা, দেশের নিরাপত্তা নিয়ে সরকার ছিনিমিনি খেলছে এসব বিষয় এই রিপোর্টে এসেছে। এতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তির ক্ষতি হয়েছে। তারা দেশের মানুষের মনের কথাগুলো বলেছে। এই রিপোর্টের মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারছি যে, বিশ্ববাসী আজকে বাংলাদেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন।

শনিবার (১৬ মার্চ) বেলা ১১টায় বিএনপিপন্থী কৃষিবিদদের সংগঠন এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এ্যাব) নবগঠিত কমিটির নেতাদের সাথে নিয়ে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এসব কথা বলেন।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার কারণে আজকে দেশে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ শুধু বিএনপি বা জোটের বিষয় নয়। এটা দেশের সকল নাগরিকের। আজকে জনগণের যে মালিকানা কেড়ে নেয়া হয়েছে সেটা ফিরিয়ে আনার আন্দোলনের দিকে আমরা যাচ্ছি। দেশও সেদিকেই যাচ্ছে। আমার বিশ্বাস দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে সকল আন্দোলনে এদেশের মানুষ জয়ী হয়েছে। এবারও তারা জয়ী হবে। 

গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ব্যাপারে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ বলেন, গণশুনানীর নামে যে প্রতারণা চলছে, জনগণের ওপরে বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এমনিতেই দেশের সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে গেছে। গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্তের কারণে আজকে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হবে এবং তাদের ক্রয় ক্ষমতা আরও কমে যাবে। অপরদিকে আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীদের সম্পদ হাজার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপি নেতা কৃষকদলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু, খায়রুল কবির খোকন, শামীমুর রহমান শামীম, আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, হাসান জাফির তুহিন, অ্যাব আহবায়ক রাশিদুল হাসান হারুন, প্রথম যুগ্ম আহবায়ক গোলাম হাফিজ কেনেডি, সদস্য সচিব জি কে মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

টিএস/বিএস