• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০১৯, ১২:৩২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ৪, ২০১৯, ১২:৩২ পিএম

অসন্তুষ্টি থেকে বিএনপি ছাড়লেন মোবাশ্বের ভূইয়া

অসন্তুষ্টি থেকে বিএনপি ছাড়লেন মোবাশ্বের ভূইয়া
মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া

অসন্তুষ্টির কারণে দলের সব ধরনের পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব বরাবর লেখা এ পদত্যাগপত্র বুধবার বিকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেন। 

এ বিষয়ে মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া বলেন, মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থতার কারণে দলের পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছি। তিনি বলেন, পদত্যাগ করলেও আমি অন্য কোনও দলে যাবো না। অতীতেও বিএনপি করেছি, আগামীতেও থাকবো। তবে কোন পদ-পদবিতে থাকবো না।
পদত্যাগের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে মোবাশ্বের বলেন, বিগত নির্বাচনের আগে আমি জেলে ছিলাম। তখন আমাকে মনোনয়ন না দিয়ে আরেকজনকে দেয়া হয়। এর বাইরে আর কিছু না। 

বিগত একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে-পরে মোবাশ্বেরসহ বিএনপির মোট পাঁচ কেন্দ্রীয় নেতা দলের সব ধরনের পদ থেকে পদত্যাগ করলেন। নির্বাচনের পর বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন বিএনপির বহুল আলোচিত-সমালোচিত হাওয়াভবেনের মালিক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য আলী আসগর লবি। গত ২৪ জানুয়ারি তিনি বিএনপি মহাসচিব বরাবর অব্যাহতিপত্র জমা দেন। গত ১৬ মার্চ দল থেকে পদত্যাগ করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় অর্থ বিষয়ক সহসম্পাদক (রাজধানীর শাহাবউদ্দিন মেডিক্যাল কলেজের মালিক) মো. শাহাব উদ্দিন। এর আগে, একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে পদত্যাগ করেন সংগীতশিল্পী মনির খান। গত বছরের ৯ ডিসেম্বর তিনি সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন। মনির খান বিএনপির সংস্কৃতি বিষয়ক সহসম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গত ২৮ মার্চ মানসিক ও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে বিএনপির রাজনীতি থেকে অব্যাহতি চান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহসভাপতি আবু মোতালেব।

মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি ও নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-১০ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তবে সেখানে মনোনয়ন পান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ঘনিষ্ট বন্ধু ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক চৌধুরী।

টিএস/বিএস