দলের নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, খালেদা জিয়ার আদর্শের যারা তারাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন। আমি বিশ্বাস করি, তাদের সংসদে যাওয়া তো দূরের কথা এর আশপাশে কেউ হাঁটলে বাংলাদেশের মানুষ তাদের ক্ষমা করবে না। দলীয় নেতাকর্মীদের কথা বাদই দিলাম।
রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ৩শ’ আসনে কেউ জয়লাভ করে নাই বা কেউ পরাজিতও হয় নাই। কারণ জনগণ নির্বাচনে ভোট দেয় নাই । নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারণ করে জনগণ। তাই আমরাও পরাজিত হইনি। আর আওয়ামী লীগের যারা এমপি হয়েছেন তারা নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের মাধ্যমে ভোট চুরি করে নির্বাচিত হয়েছে। এই চুরি করা ভোটের ফলাফল জনগণ মানতে পারে না। এ কারণেই বলছি, খালেদা জিয়া জেলে থাকবে আর আমরা সংসদে গিয়ে মজা নেব, আর শেখ হাসিনাকে সন্তুষ্ট করবো এমন ব্যক্তি বিএনপিতে আছে কিনা আমার জানা নেই। যদি থাকে যথা সময়ে যথাযথ উত্তর তাদের জন্য অপেক্ষা করছে।
তিনি আরও বলেন, আজকের আন্দোলন শুধু খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলন না, বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের মুক্তির জন্য আন্দোলন। গণতন্ত্রিক শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকার হটানো সম্ভব এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সম্ভব।তিনি বলেন, আমরা সবাই জানি, খালেদা জিয়া আপসহীন নেত্রী। তিনি আপস করতে জানেন না। নেত্রী জেলে থাকবে আর আমরা বাইরে থাকবো জেলে যাওয়ার ভয়ে আন্দোলন করতে পারব না আমাদের এই সিদ্ধান্ত পরিহার করতে হবে।
মানববন্ধনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু বলেন, খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিকভাবে বন্দি করে রাখা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে তার যথেষ্ট চিকিৎসা হচ্ছে না। এমন অবস্থায় বিএনপি নেত্রীকে সরকার মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে যে মামলায় আটক রাখা হয়েছে, এই মামলায় যে কোনো ব্যক্তি মুক্তি পায়, কিন্তু তাকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে না। বারবার হাইকোর্টে যেতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে নেত্রী অসুস্থ তার চিকিৎসাও দেয়া হচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত তাকে যে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে তা যথেষ্ট নয়।
তিনি আরও বলেন, দেশে আজ কোনো জবাবদিহিতা নেই, আইনের শাসন নেই। গণতন্ত্র ধ্বংসের মুখে। তিনি বলেন, নির্বাচন থেকে বাইরে রাখার জন্য খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় বন্দি করে রাখা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন মিলে যে অপকর্ম করেছে তা গণতন্ত্রকে অপমান করা হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।
টিএস/বিএস