• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৩, ২০১৯, ০১:০৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২৩, ২০১৯, ০১:০৫ পিএম

খালেদা জিয়ার দরকষাকষির ইতিহাস নেই: রিজভী 

খালেদা জিয়ার দরকষাকষির ইতিহাস নেই: রিজভী 
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির নিজভী আহমেদ

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে দরকষাকষি বাজে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, বিএনপি চেয়ারম্যান খালেদা জিয়া আপসহীন নেত্রী হিসেবেই জনগণের নিকট প্রতিষ্ঠিত সুতরাং তিনি কখনোই কোনো অন্যায়ের কাছে মাথানত করেননি, কোনো স্বৈরাচারের কাছেই আত্মসমর্পণ করেননি, দরকষাকষির ইতিহাস তার নেই। 

তিনি বলেন, দরকষাকষির দৃষ্টান্ত কার আছে সেটি আওয়ামী নেতারা নিজেরাই জানেন, আর না জানলে আপনাদের নেত্রীকে জিজ্ঞেস করুন। 

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী আহমেদ বলেন, ‘৮৬ সালে এরশাদের নির্বাচনে যে যাবে সে জাতীয় বেঈমান হবে’ বলে আপনাদের নেত্রী দরকষাকষি করে সেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। জাতীয় বেঈমানের মুকুট তিনি নিজেই নিজের মাথায় পরে ক্ষমতার হালুয়া-মোরব্বার ভাগ পেয়েছিলেন। কিভাবে একটি অবৈধ ও অসাংবিধানিক ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিন সরকারের সঙ্গে দরকষাকষি করে ক্ষমতায় এসেছিলেন সেটিও নিশ্চয়ই আপনি ভুলে যাননি। অগণতান্ত্রিক সরকারের সঙ্গে দরকষাকষি ও দেন-দরবারের ঐতিহ্য আওয়ামী লীগের, বিএনপির নয়।
 
তিনি বলেন, রাষ্ট্রশক্তিকে ব্যবহার করে নির্দোষ খালেদা জিয়াকে যেভাবে বন্দি করে রাখা হয়েছে সেটিই ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আজ গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের প্রতীক খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার কারাগারে বন্দি। দেশের প্রতিটি মানুষ জানে এবং বিশ্বাস করে খালেদা জিয়া নির্দোষ। দেশ থেকে আইনের শাসনকে সমাহিত করে পুলিশি শাসন কায়েম করা হয়েছে। আর এই অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য ভিন্ন মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির আশা-ভরসার প্রতীক দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে আটকে রেখে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করা যাবে না। বর্তমানে সমাজে যে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে তা ইতিহাসে সর্বকালের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। 

রিজভী বলেন, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, গার্মেন্টস শ্রমিক, বাসের যাত্রী, গৃহবধূ, মা-বোনসহ সমাজে এখন আর কেউ নিরাপদ নয়। ম্যান্ডেটবিহীন সরকারের কারণে বর্তমানে সামাজিক ভায়োলেন্স এতো তীব্র হয়েছে যে, বাংলাদেশ থেকে ‘সোশ্যাল ফ্রেব্রিক’ ভেঙ্গে গেছে। রাজনীতিকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে নির্বাসনে। এই বিভৎস সামাজিক নৈরাজ্য ভোটারবিহীন সরকার, মধ্যরাতের সরকার, একদলীয় সরকার ও জবাবদিহিহীন সরকারের সর্বব্যাপী গুম-খুন-গুপ্তহত্যা-নির্বিচারের মামলা ও গ্রেফতারের কারণেই বিস্তার লাভ করেছে। কারণ সমাজবিরোধীরা সরকারি দলের আনুকুল্যে মানুষের সহায়-সম্পত্তি দখলের ধারাবাহিকতায় নারীদেরকেও দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নীরব, অথবা এদের মদদদাতা হিসেবে কাজ করছে, অথবা নিজেরাই অপকর্মে মেতে উঠেছে। গোটা রাষ্ট্রকাঠামোই এখন ধ্বসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এজন্য দায়ী অবৈধ মিডনাইট সরকার।

শ্রীলঙ্কায় বোমা হামলার ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকে গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেন তিনি।  ইতোমধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শ্রীলঙ্কার সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা ও হতাহতদের জন্য শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন। 

টিএস/বিএস