• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৮, ২০১৯, ০৭:১৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৮, ২০১৯, ০৭:১৭ পিএম

কৃষক ও কৃষি রক্ষায় বাংলাদেশ কৃষক ন্যাপের ৭ দফা দাবি

কৃষক ও কৃষি রক্ষায় বাংলাদেশ কৃষক ন্যাপের ৭ দফা দাবি

ধানের ন্যায্য মূল্য প্রদান করে কৃষি ও কৃষক রক্ষার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কৃষক ন্যাপ। ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া এ দাবি উত্থাপন করে বলেছেন, নানা অব্যবস্থাপনা, দায়িত্বহীনতা এবং মধ্যস্বত্বভোগী অসৎ ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে সম্প্রতি উৎপাদন পর্যায়ে ধানের মূল্য অস্বাভাবিক কমে যাওয়ায় কৃষকদের জন্য মারাত্মক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। ধানের বিক্রয়মূল্য উৎপাদন খরচের চেয়ে কম হওয়ায় উৎপাদনকারী কৃষক মারাত্মক সংকট ও ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তৃণমূল পর্যায়ের উৎপাদনকারী কৃষকরা এমনিতেই বঞ্চিত, শোষিত ও অসহায়। নানা প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে কৃষি ও উৎপাদন ব্যবস্থা চালু রেখে দেশ ও জনগণের চাহিদা পূরণ করছেন তারা। সম্প্রতি অনেক জায়গায় কৃষক হতাশ হয়ে নিজের ধানক্ষেতে আগুন দিয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণে ব্যর্থ হয়েছে।

শনিবার নয়াপল্টনে ন্যাপ কার্যালয়ে বাংলাদেশ কৃষক ন্যাপ আয়োজিত সভায় তিনি এ দাবি উত্থাপন করেন।  

গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেন, কৃষকের সংকট সমগ্র জনগণের সংকট। কৃষক বিপন্ন হলে কৃষি ও কৃষি ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে সব জনগণ ও দেশ মহাসঙ্কটে পড়বে। তাই যেকোনো মূল্যে ধানের মূল্য পতনের কারসাজি রোধ করে কৃষক ও উৎপাদন ব্যবস্থা রক্ষা করতে হবে। অবিলম্বে সরকারিভাবে কৃষকদের চাহিদা মতো দামে ধান কিনে প্রয়োজনে ভর্তুকি দিয়ে এ সংকট থেকে উদ্ধার করার জন্য সরকারের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

সভায় মৌসুমের শুরুতে কৃষকদের স্বার্থে ধান, পাট, আলুসহ সকল প্রকার কৃষিপণ্যের জন্য লাভজনক মূল্য নির্ধারণ করাসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কৃষক ন্যাপ। দাবিগুলো হচ্ছে-

১. মৌসুমের শুরুতে কৃষকদের স্বার্থে ধান, পাট, আলুসহ সকল কৃষিপণ্যের জন্য লাভজনক মূল্য নির্ধারণ করা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি ক্রয়কেন্দ্র চালু করে কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি কৃষিপণ্য ক্রয় করা। 
২. কৃষিভিত্তিক শিল্প কারখানা গড়ে তোলা এবং বন্ধ পাটকল চালু করা। 

৩. কৃষিপণ্য সরবরাহে সারাদেশে রেল ব্যবস্থা সচল করে কৃষিপণ্য পরিবহনের ব্যবস্থা করা এবং কৃষি উৎপাদন উপকরণসমূহের দম কমানো। 

৪. শষ্য বিমা ও পল্লী রেশনিং চালু করা ও আলুসহ সকল শাক-সবজি সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত হিমাগার নির্মাণ করা ও কৃষকের মাঝে সাটিফিকেট মামলা প্রত্যাহার। 

৫. কৃষি জমি রক্ষা, খাস জমি প্রকৃত ভূমিহীনদের মাঝে বিতরণ এবং বন-পাহাড় ধ্বংসের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়নসহ ভূমি অফিসের দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। 

৬. হাওর এলাকার নদীগুলোতে ড্রেজিং ও বাঁধ নির্মাণ করা এবং হাওর এলাকার খাল-বিল ইজারা বন্ধ করতে হবে। 

৭.  নদী ভাঙনরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনে পদক্ষেপ গ্রহণ।

কৃষক ন্যাপ সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী ফারুক হোসেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক মো. কামাল ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, যুগ্ম মহাসচিব মো. নুরুল আমান চৌধুরী, ঢাকা মহানগর সভাপতি মো. শহীদুননবী ডাবলু, কৃষক ন্যাপ যুগ্ম আহ্বায়ক তাইজুদ্দিন ফকির, ফজলুল বারী, নির্বাহী সদস্য আবদুল আলিম, আবুল খায়ের, কাবেরী বরুয়া প্রমুখ।

টিএস/ এফসি