বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থী ও দলের সহ আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, মামলার মেরিট বিবেচনায় তাৎক্ষণিক জামিন পাওয়ার যোগ্য খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার মামলা যেহেতু রাজনৈতিক এবং এটা সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে এক রকম স্বীকারও করা হয়েছে- তাই তার মুক্তিটা সরকারের হাতে।

সোমবার (২০ মে) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

দলের মনোনয়ন দেয়ায় কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রুমিন বলেন, আমার ওপর একটি দায়িত্ব চলে এসেছে। আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো নিষ্ঠার সঙ্গে, সততার সঙ্গে সে দায়িত্ব পালন করতে।

তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক মামলায় এক বছরের ওপরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাবন্দি। ইনশাআল্লাহ তার আশুমুক্তির জন্য আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবো এবং যে গণতন্ত্রহীনতায় বাংলাদেশ এখন ভুগছে, বাংলাদেশের মানুষ তার ভোটের অধিকার বঞ্চিত, বাংলাদেশের মানুষ আজকাল কথা বলতে ভয় পায়, বাকস্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছে- এই বিষয়গুলো নিয়ে, দেশের কথা, মানুষের কথা এবং জনগণের কথা নিয়ে আমি সংসদে কাজ করবো, কথা বলবো। 

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের অনুযায়ী ১৪৯ আসনে জয়লাভ করলেও পরিবর্তন আনবার কোনো ক্ষমতা আপনার নেই। যতক্ষণ না আপনি ১৫১টি আসন পাচ্ছেন। ৭টি আসন কম কিন্তু আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা সেখানে দেবো, আমরা বলবো, আমরা সোচ্চার থাকবো এবং এই যে প্রতিদিনের যে অনিয়ম, অনাচার, জনগণের যে দুর্ভোগ, মানুষের অধিকারের যে স্খলনটা, সেটা নিয়ে আমরা সংসদে যখনই সুযোগ পাবো তখনই কথা বলবো।

তিনি বলেন, সংসদে আমরা সীমিত সুযোগ পাবো, সেই সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার আমরা করবো। মামলাটি (খালেদা জিয়ার) যেহেতু রাজনৈতিক এবং এটা সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে এক রকম স্বীকারও করা হয়েছে। তার মুক্তিটা কিন্তু সরকারের হাতে। কারণ যেই মামলায় তাকে এতোগুলো মাস কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। সেই মামলায় যে কোনো মানুষের অনেক আগে জামিন হয়ে যায়। মামলার মেরিট বিবেচনায় উনি (খালেদা জিয়া) তাৎক্ষণিক জামিনযোগ্য।  তাকে যেভাবে আটকে রাখা হয়েছে, অন্যায়ভাবে, সেই অন্যায়ের প্রতিবাদ আমরা নিশ্চয়ই করবো।

এইচএস/এসএমএম