• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১০, ২০১৯, ০৯:০৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১০, ২০১৯, ০৯:০৩ পিএম

বাড়ানো হচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শক্তি ও পরিধি

বাড়ানো হচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শক্তি ও পরিধি
বৈঠকের বক্তব্য রাখছেন জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব -ছবি : জাগরণ

 লক্ষ্য সরকার বিরোধী বলয় শক্তিশালী করা 

● অন্যদল আসতে চাইলে স্বাগত জানানো হবে

● জামায়াতে ইসলামীকে না নেয়ার সিদ্ধান্ত 

● ড. কামালের অসুস্থতার কারণে বৈঠক মূলতবি

সরকার বিরোধী আন্দোলন অব্যাহত রাখতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শক্তি ও পরিধি বাড়াতে একমত হয়েছেন স্টিয়ারিং কমিটির নেতারা। তবে সরকার বিরোধী বলয় শক্তিশালী করতে পরিধি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও এ জোটে বিএনপির অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীকে নেয়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ।

সোমবার (১০ জুন) রাজধানীর উত্তরায় জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসায় জোটের জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

ঐক্যফন্ট সূত্র জানায়, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শক্তি ও পরিধি বাড়ানোর সর্বসম্মতিকর্মে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বৈঠকে। ফ্রন্টের কলেবর বাড়ানোর বিষয়ে ফ্রন্টের নেতারা একমত হয়েছেন। তারা বলেছেন, ফ্রন্টের পরিধি বাড়াতে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তিকে নেয়া হবে। তবে কোনভাবেই মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কোনও দলকে ফ্রন্টে না নেয়ার পক্ষে তারা একমত পোষণ করেছেন নেতারা। 

বৈঠকে জোট নেতাদের ভাষ্য, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ঐক্যফ্রন্টকে বড় করতে হবে এবং এই ঐক্যকে টিকিয়ে রাখতে হবে। পাশাপাশি সরকার বিরোধী আন্দোলন জোরদারও অব্যাহত রাখতে হবে।

সূত্র আরও জানায়, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে  যে সব রাজনৈতিক দল আসতে চায়, তাদের স্বাগত জানানো হবে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিকদলগুলো আসতে চাইলে তাদেরও নেয়া হবে। তবে কোনভাবেই জামায়াতে ইসলামীকে ঐক্যফ্রন্টে নেয়া হবে না। 

কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে। এ প্রসঙ্গে ফ্রন্টের নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বৈঠকে বলেন, খালেদা জিয়ার সঙ্গে সরকার যে ধরনের আচরণ করছে, তা অমানবিক। এটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য ও ন্যয়সঙ্গত নয়।

গণফোরাম সভাপতি ডা. কামাল হোসেনের অসুস্থতার জন্য বৈঠক শেষ না করে মূলতবি ঘোষণা করা হয়।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীর প্রতীক, গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সায়ইদ, সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় নেতা মমিনুল ইসলামসহ আরও নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

টিএস/এসএমএম