• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০১৯, ০৭:১০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৬, ২০১৯, ০৭:১০ পিএম

বাজেটের আকার নিয়ে গর্বকারীরা বাজেট বোঝে না : আমির খসরু

বাজেটের আকার নিয়ে গর্বকারীরা বাজেট বোঝে না : আমির খসরু
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে লেবার পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী - ছবি : জাগরণ

বাজেটের ‘আকার’ নিয়ে যারা গর্ব করে তারা বাজেটের কিছু বোঝে না, তারা বাজেট সম্পর্কে অজ্ঞ। এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, বাজেটের আকার কোনো বিষয় নয়। আকার নিয়ে যারা গর্ব করে তারা বাজেটের কিছু বোঝে বলে আমার মনে হয় না। আকার নিয়ে গর্ব করার কিছু নেই।

রোববার (১৬ জুন) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে লেবার পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘সংবাদপত্রের কালো দিবস, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা আয়োজন করে লেবার পার্টি। এতে সভাপতিত্ব করেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান।

আমির খসরু বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম আমলের দিকের তাকালে তারা নিজেরাই বুঝবে, বাজেট কত ছোট ছিল। ধীরে ধীরে তা বেড়েছে। বাজেট প্রতিবছর বাড়ে। স্বৈরাচারী সরকারের সময়ও বাজেটের আকার বাড়ে। আকার নিয়ে যারা কথা বলে তারা অজ্ঞ। বাজেটের আকার নিয়ে নয়, মান নিয়ে কথা বলতে হবে।

বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, বাজেটে একটি গোষ্ঠী লাভবান হয়েছে। একটি গোষ্ঠী সব কিছু করছে। সব দখলে নিয়েছে। যে লোকগুলো আজ রাষ্ট্রের সার্বিক ক্ষমতা দখল করে আছে তারা তো নিজেদের স্বার্থেই বাজেট দেবে। এখানে জনগণের কিছু নেই। কারণ জনগণের নির্বাচিত সংসদও নেই, সরকারও নেই।

খসরু বলেন, এখন ৬৭ হাজার টাকা মাথাপিছু ঋণ রয়েছে। সামনের বছর তা ৭৫ হাজারে দাঁড়াবে। যে ঋণের বোঝা তারা জনগণের মাথায় চাপিয়ে দিচ্ছে, তা থেকে জনগণ কীভাবে মুক্ত হবে?

সুপরিকল্পিতভাবে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, ৪৫ বছর আগে মাত্র ৪টি সংবাদপত্র রেখে বাকি সব বন্ধ করেছিল আওয়ামী লীগ। ৪৫ বছর পর সেই ভূত আবার চেপেছে তাদের মাথায়। তবে এখন তারা ভিন্ন কৌশল নিয়েছে। নিজেদের পৃষ্ঠপোষকতায় কিছু গণমাধ্যম সৃষ্টি করে অন্যদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। গণমাধ্যমকর্মীরা আজ সাংবাদিক নেই। তারা নিজেরাই বলে তারা হুকুম তামিল করার কাজ করছেন। সেজন্য অনেক বিবেকবান সাংবাদিক সাংবাদিকতা ছেড়ে দিচ্ছেন। কারণ নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারছেন না। দেশে সংবাদ যেন গুরুত্ব না পায় এর জন্য কিছু গণমাধ্যমে ছাঁটাই করা হচ্ছে।

আমির খসরু আরও বলেন, সংবিধানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পরিষ্কারভাবে লেখা আছে। স্বাধীনভাবে গণমাধ্যম কাজ করবে। কোনো রকম বাধা থাকবে না। কিন্তু যেভাবে ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে, তেমনিভাবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাও আজ রোধ করা হয়েছে। এসময় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন গ্রেফতারের তীব্র প্রতিবাদ জানান তিনি।

লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহ, শিক্ষক নেতা জাকির হোসেন, ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ আন্দোলনের কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

টিএস/ এফসি