• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২১, ২০১৯, ০৫:৫৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২১, ২০১৯, ০৫:৫৯ পিএম

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল

কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল। শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে সংগঠনের কয়েকশো নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে বিক্ষোভ মিছিলটি নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিকট এসে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন ও চারবারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা সাজানো মামলায় কারবন্দি রেখে এবং তাঁর জামিনে বাধা সৃষ্টি করেও জোরজবরদস্তিমূলকভাবে ক্ষমতা দখলকারী অবৈধ আওয়ামী সরকার নিশ্চিন্ত থাকতে পারছে না। কেননা একটা গণতান্ত্রিক দেশে গণতন্ত্রকে কবরস্থ করে এবং বারবার গণতন্ত্র পূণরুদ্ধারের আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় অন্যায় সাজা দিয়ে বর্তমান অবৈধ সরকার অতি মাত্রায় বেপরোয়া ও নিষ্ঠুর হয়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, বর্তমান অবৈধ শাসকগোষ্ঠী জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে কব্জায় নিয়ে সম্পূর্ণরূপে দস্যুবৃত্তির নীতিতে দেশ পরিচালনা করছে বলেই দেশে কবরের নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে। ঝর্ণার সঙ্গে নদীর যেমন সম্পর্ক, নদীর সঙ্গে সমুদ্রের যেমন সম্পর্ক, মেঘের সঙ্গে বৃষ্টির যেমন সম্পর্ক তেমনিভাবে গণতন্ত্রের সঙ্গে বেগম জিয়ার সম্পর্ক অবিচ্ছেদ ও অবিভাজ্য। সুতরাং গণতন্ত্রের নেত্রীকে বন্দী করে প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন পূরণ হবে না।

তিনি আরও বলেন, বসন্তে যেমন কোকিলের গান বন্ধ করা যায় না, বর্ষায় যেমন বৃষ্টিকে থামানো যায় না, অগ্রহায়ণে যেমন ধান কাটা বন্ধ করা যায় না, তেমনি একজনের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে দেশনেত্রীকে বন্দী করে রাখা যাবে না। জনগণের মিলিত  স্রোতে বেগবান হয়ে দেশনেত্রীর মুক্তি নিশ্চিত হবে ইনশাল্লাহ। স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল শুরু হলে নেতাকর্মীরা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সোচ্চার কন্ঠে শ্লোগান দিয়ে রাজপথ কাঁপিয়ে তোলেন।

মিছিল শেষে আরও বক্তব্যে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু বলেন, ‘গণতন্ত্রের মা’ ও আপোষহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী রেখে তিলে তিলে নিঃশেষ করে বর্তমান জুলুমবাজ সরকার দেশ থেকে গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দীর্ঘমেয়াদে দখলে রাখার পথ পরিস্কার রাখার জন্য গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এজন্যই দেশনেত্রীকে তার পছন্দের হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না এবং তার জামিনে বাধা প্রদান করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আওয়ামী দুঃশাসনের কবল থেকে মুক্তি পেতে দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সকল ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচাতে দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য রাজপথে নেমে আসার জন্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।

সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল বলেন, মিথ্যা মামলায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটক রেখে গণতন্ত্রের পথচলাকে চিরতরে স্তব্ধ করে দিতে চায় বর্তমান অবৈধ শাসকগোষ্ঠী। কারণ সরকার ভালভাবেই জানে যে, দেশের মানুষের নিকট সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে নিঃশেষ করতে না পারলে, বিএনপিকে ধ্বংস করতে না পারলে আওয়ামী শাসনই চিরতরে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তাই তারা দেশনেত্রীকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। কিন্তু সরকারের এই ষড়যন্ত্রই সফল হবে না, দেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। আওয়ামী জনবিচ্ছিন্ন সরকারের দুঃশাসন গুঁড়িয়ে দিতে জনগণ দেশনেত্রীকে কারামুক্ত করবেই।

মিছিলে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির র্ভুঁইয়া জুয়েল, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছিন আলী, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদরেজ জামান, মহানগর উত্তর সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিন, দক্ষিণ সভাপতি এসএম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক গাজী রেজওয়ান হোসেন রিয়াজ, দক্ষিণের সিনিয়র সহ-সভাপতি রফিক হাওলাদার, সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনু মোহাম্মদ শামীম আজাদ, ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল, সহ-সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, কাদের হালিমী, ইলিম মোহাম্মদ নাজমুল, ঢাকা মহানগর উত্তর সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শাহাবুদ্দিন মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দল সাবেক দফতর সম্পাদক আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, কুমিল্লা উত্তরের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা জেলা শাখার স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আব্দুর রহমান বাবুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ঢাকা জেলা শাখা ওয়াহিদুর রহমান বাণী, নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি আনোয়ার সাদত সায়েম, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, সহ-সভাপতি জাকারিয়া সালেহ স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক সালাহউদ্দিন সানু, নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার সভাপতি আবুল কাউসার আশা, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান ছক্কু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি হাসিবুর রহমান মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম, গাজীপুর জেলার সহ-সভাপতি শিপলু বকশী, সহ-সভাপতি জাকির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আপেল মাহমুদ, ১ম যুগ্ম সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, গাজীপুর মহানগর শাখার সভাপতি আরিফ হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শাহীন, সিনিয়র সহ-সভাপতি গাজী সালাহ উদ্দিন, সহ-সম্পাদক মাসুম রাসেল, ফরহাদ উদ্দিন, মাহমুদুল বারী, অমিত হাসান হাফিজ, খোরশেদ আলম পাটোয়ারী, বেলাল আহমেদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদুর রহমান সাঈদ, দক্ষিণের বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ মোর্শেদ পাপ্পা শিকদার, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর কাদির ঝিলন, সদস্য এ বি এম মুকুল, ডা. জাহিদুল কবির জাহিদ, মোজাম্মেল হক মৃধা, আরিফ মেহেদী, এসএম সায়েম, কেন্দ্রীয় নেতা নুরুজ্জামান সরদার, ড. মফিদুল আলম খান, হাজী আনোয়ার হোসেন, ইউসুফ হারুন পাটোয়ারী, সরোয়ার ভুঁইয়া রুবেল, আবদুল্লাহ আল মামুন, এসএম ডালিম শিকদার, মোরশেদ আলম, আনিসুর রহমান সুজন, আবু জাফর বাদল, আলমগীর হোসেন শাহীনসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের কয়েকশত নেতাকর্মী অংশ নেন।

টিএস/এসজেড