• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০১৯, ০৭:৫৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৫, ২০১৯, ০৭:৫৫ পিএম

বাজেট নিয়ে বি চৌধুরীর একগুচ্ছ প্রস্তাব

বাজেট নিয়ে বি চৌধুরীর একগুচ্ছ প্রস্তাব
‘বাজেট-২০১৯-২০২০, বাস্তবায়ন ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিকল্পধারা সভাপতি অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী - ছবি : জাগরণ

প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের আকার বড় হওয়ায় সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছেন যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান, বিকল্পধারা সভাপতি অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। একইসঙ্গে বাজেটের বিভিন্ন দিকের সমালোচনা করে একগুচ্ছ প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। 

মঙ্গলবার (২৫ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে আবদুস সালাম মিলনায়তনে যুক্তফ্রন্ট আয়োজিত ‘বাজেট-২০১৯-২০২০, বাস্তবায়ন ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন। 

ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, নিঃসন্দেহে এটি একটি বড় বাজেট। এ জন্য আমরা সরকারকে সাধুবাদ জানাই। তবে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপর যে দ্বিগুণ কর আরোপ করা হয়েছে তা প্রত্যাহার করতে হবে। ব্যাংকিং খাত সংস্কারে বাজেটে দৃঢ় কোনো পদক্ষেপের কথা বলা হয়নি। আমরা আশা করবো, ব্যাংকিং খাতের সংস্কারের জন্য সরকার একটি ব্যাংক কমিশন গঠন করবে। এ সময় বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখায় সমালোচনা করেন তিনি।
 
দেশের সিনিয়র নাগরিকদের জন্য বিভাগীয় শহরে ৫০০ বেডের হাসপাতাল করার আহ্বান জানিয়ে বি চৌধুরী বলেন, ক্যান্সারের ওষুধের মূল্য কমানোর পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানাই। শুধু ক্যান্সারের ওষুধ নয়,  ডায়বেটিস, হাইপ্রেসার, হার্ড, কিডনি ও লিভার এই পাঁচটি বড় রোগের ঔষধেরও দাম কমাতে হবে।
 
শিক্ষার উন্নয়নে বাজেটে দৃঢ় পদক্ষেপ নেই জানিয়ে বি চৌধুরী বলেন, অনেক পাস আছে, অনেকে ভালো ফলাফল করছে। কিন্তু কিছুই শিখছে না। শিক্ষকদের মান উন্নয়নের কোনো কথাই বলা হয়নি বাজেটে। এমপিওভুক্তির আশ্বাসের বিষয়টি ভালো পদক্ষেপ। শুধু এমপিওভুক্তি বাড়ালেই হবে না,  শিক্ষার মানের দিকে নজর বাড়াতে হবে। 

বি চৌধুরী বলেন,  মুক্তিযোদ্ধাদের ২০ শতাংশ ভাতা বৃদ্ধিকে ধন্যবাদ জানাই। বয়স্ক ভাতা দেয়ার বিষয়টি ইতিবাচক। ওই বয়সে মানুষ কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তাদের চিকিৎসা ও ওষুধের জন্য অর্থের প্রয়োজন হয়। সরকারের এই পদক্ষেপকে আমি সাধুবাদ জানাই। 

তিনি বলেন, উপজেলা ট্যাক্স সেন্টার করেছেন। এটা একটা ভালো উদ্যোগ। এই ট্যাক্স সেন্টারকে জনপ্রিয় করতে হলে বিশেষ মর্যাদার ব্যবস্থা করতে হবে। সিনিয়র নাগরিকদের কর থেকে মুক্তি দিতে হবে। 
 
এ সময় প্রতিবেশী দেশ ভারতের উদাহরণ টেনে বি চৌধুরী বলেন, ট্যাক্স নেট তৈরি করতে হবে। তিনটি শ্রেণী বিন্যাস আছে। ক শ্রেণীর ৬০ বছর পর্যন্ত মানুষেরা উৎপাদনশীল জনগোষ্ঠীর এক ধরনের করের হার। খ শ্রেণীর ৬০ থেকে ৮০ পর্যন্ত সিনিয়র নাগরিকদের জন্য এক ধরনের করের হার। গ শ্রেণীর মধ্যে সুপার সিনিয়র সিটিজেন। তাদের জন্য কর হার থাকা উচিত নয়। কারণ তাদের চিকিৎসায় সব ব্যয় হয়ে যায়। গ শ্রেণীর আজীবন অবদান স্মরণ, তাদের একাকীত্ব এবং তাদের বয়সের রোগকে স্বীকৃতি দিতে হবে। বাংলাদেশেও এমনটা করতে হবে।  

এসময় বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেন, সরকার কৃষিতে ভর্তুকি দিচ্ছে, একে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু কৃষিপণ্য ক্রয়েও ভর্তুকি দিতে হবে। পোষাক কারখানা মালিক, ঋণখেলাপি, কালো টাকার মালিকরা প্রণোদনা পায়, কৃষক তার শস্য বিক্রিতে কেন প্রণোদনা পাবে না।

যুক্তফ্রন্টের সমন্বকারী ও বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম সারোওয়ার মিলনের সভাপতিত্বে ও বাসদ সভাপতি সরদার শামস আল মামুনের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিকল্পধারা মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, প্রেসিডিয়াম সদস্য শমসের মোবিন চৌধুরী, মাহি বি. চৌধুরী, শাহ মাজহারুল হক চৌধুরী, বিএলডিপি চেয়ারম্যান নাজিমউদ্দিন আল আজাদ, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বিকল্পধারার সহ-সভাপতি এনায়েত কবির, লেবার পার্টি চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, মহাসচিব আবদুল্লাহ আল মামুন  বাংলাদেশ জনদল চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জয় চৌধুরী, সেলিম আহমেদ, বাংলাদেশ শরিয়াহ আন্দোলনের আমীর মাওলানা মাসুম বিল্লাহ, বাংলাদেশ জনতা লীগ চেয়ারম্যান শেখ ওসমান গনি বেলাল প্রমুখ।

টিএস/ এফসি