আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়ে গেল। এদের ছাড় দেয়া যাবে না। এই টাকা আদায় করতে না পারলে এদের সম্পদ বিক্রি করে গ্যাস, বিদ্যুতে ভর্তুকি দেন। এদের প্রতি জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে।

বাজেটকে অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে হবে বলে দাবি করে তিনি বলেন, বাস্তবায়নে যেই ব্যর্থ হোক, মন্ত্রী হলেও তাকে জবাবদিহিতা করতে 
মঙ্গলবার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেটের উপর নির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি জানান।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, এই সংসদে যে জনপ্রতিনিধি আছেন তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যে এমপিও ভুক্ত করা হবে তার প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংসদ সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হোক। কারণ এই সংসদ সদস্যরা জনগণের প্রতিনিধি। তাই তাদের এমপিও অর্ভুক্তিতে অবশ্যই প্রধান্য দিতে হবে। রাজনীতিবিদরাই দেশ পরিচালনা করে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ভুল ত্রুটি হতে পারে কিন্তু তারাই দেশ পরিচালনা করে, এই রাজনীতিবিদরাই দেশ স্বাধীন করেছে।

তিনি বলেন, মোবাইল ফোনে যে অতিরিক্ত কর ধার্য করা হয়েছে সেটা প্রত্যাহার করেন। সঞ্চয়পত্র হচ্ছে গরিবের সোনার বাটি। এর উপর উৎসে কর ধার্য্য করবেন না। গ্যাসের দাম কমানোর জন্য, গরিবের বিদ্যুতের দাম কমানোর জন্য প্রয়োজনে ভর্তুকি দিন। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় ছিলো দীর্ঘ দিন। এই সময় ব্যাংকিং সেক্টরসহ প্রশাসন সর্বত্রই জামায়াত শিবির বসেছিল। তারা চেষ্টা করে যাতে শেখ হাসিনার সরকার ব্যর্থ হয়। এ বিষয়গুলো দেখতে হবে ব্যবস্থা নিতে হবে। অর্থমন্ত্রীকে বলবো এই বাজেট অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে হবে। যারা করতে পারবে না তাদের জবাবদিহিতা করতে হবে। সে মন্ত্রী হলেও তাকে জবাবদিহিতা করতে হবে।

তিনি বলেন, সুবিধাবাদি ব্যবসায়ীরা আজ সংসদে। তারা সরকারের মধ্যেও ঢুকে পড়েছে। এরা সুবিধাবাদী, এরা দুই দিক থেকেই সুবিধা নেয়। এরা গার্মেন্টেস মালিক হয়েছে, মিডিয়ারও মালিক হয়েছে। আমাদের কাছ থেকে লাইসেন্স নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধেই আবার লেখে। ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়ে গেলো। এদের ছাড় দেয়া যাবে না। এই টাকা আদায় করতে না পারলে এদের সম্পদ বিক্রি করে গ্যাস, বিদ্যুতে ভর্তুকি দেন। এদের প্রতি জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে। 

এইচএস/ একেএস