• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০১৯, ০৪:৫২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৭, ২০১৯, ০৪:৫২ পিএম

শারীরিক কিছুটা উন্নতি হলেও শঙ্কামুক্ত নন এরশাদ : জিএম কাদের

শারীরিক কিছুটা উন্নতি হলেও শঙ্কামুক্ত নন এরশাদ  : জিএম কাদের
বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের -ছবি : জাগরণ

জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের) চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে বলেছেন জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বর্তমান শারীরিক অবস্থা গতকালের চেয়ে ২৫ শতাংশ উন্নতি হয়েছে। বুধবার রাত পর্যন্ত ১০ শতাংশ উন্নতি করেছিলো শারিরিক অবস্থা। তিনি বলেন, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এরশাদ এখনও শঙ্কামুক্ত নন। তার সংক্রমণ যেনো না বেড়ে যায় সেজন্য চিকিৎসকরা নিরলসভাবে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। এরশাদের পুরোপুরি সুস্থ হতে একটু সময় লাগবে বলেও জানান জিএম কাদের। প্রয়োজন হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিল এজিবি কলোনী কমিউনিটি সেন্টার মিলনায়তনে জাতীয় পার্টি খুলনা ও বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সভায় সভাপতির বক্তৃতাকালে জাপার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

সভাপতির সূচনা বক্তব্যে জিএম কাদের বলেন, এরশাদের অবর্তমানে জাতীয় পার্টি তার নির্দেশনা এবং গঠনতন্ত্র মোতাবেক চলবে। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি একটি সম্ভাবনাময় দল। আগামীতে আমাদের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। তাই পার্টির নেতা-কর্মীদের হতাশ হলে চলবে না। দলকে আরও শক্তিশালী করতে নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান তিনি।

জিএম কাদের  বলেন, জাতীয় পার্টিসহ তিনটি বড় রাজনৈতিক দল নিজেদের দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে। এরমধ্যে সব চেয়ে জনপ্রিয় এবং সম্ভাবনাময় দল জাতীয় পার্টি। জাপা যেদিকে যায় ক্ষমতাও সেদিকেই যায়। তাই জাপাকে দুর্বল করতেই পার্টি চেয়ারম্যান এরশাদের নামে একাধিক মামলা দেয়া হয়েছিলো।

তিনি বলেন, আমরা যদি দলকে শক্তিশালী করতে পারি, গণমানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী কর্মসূচি দিয়ে তা বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে জাপা আগামীতে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিতে পারবে।

জাতীয় পার্টিতে আর মনোনয়ন বাণিজ্য চলবে না, কমিটি পেতে লবিং করতে হবে না। প্রতিটি কমিটি কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হবে। ভাড়া করা লোক দিয়ে কোনও কাউন্সিল হবে না, বন্ধ করা হবে পদোন্নতি বাণিজ্য। জাতীয় পার্টিকে একটি সুশংখল দলে পরিণত করা হবে, কোনও বিশৃঙ্খলা বরদাশত করা হবে না।

সভায় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, মহাজোটে জাতীয় পার্টির ৫৭টি আসনে নির্বাচন করার কথা ছিলো। কিন্তু আমাদের নেতৃত্ব পরিবর্তন ও কোন্দলের সুযোগ নিয়েছে আওয়ামী লীগ। তাই সংসদে জাতীয় পার্টির মাত্র ২২টি আসন।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে জাতীয় পার্টির সমর্থন নিয়ে আওয়ামী লীগ ২১ বছর পরে ক্ষমতার স্বাদ পেয়েছে, জাতীয় পার্টির ক্ষতিও করেছে। বিভিন্ন এলাকায় জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মামলা হামলা করেছে। এখন থেকে আর ছাড় দেয়া হবে না, যেখানেই আওয়ামী লীগ কর্মীরা হামলা করবে সেখানেই প্রতিরোধ করা হবে। গণতান্ত্রিক এবং আইনগতভাবে প্রতিটি হামলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। দলকে আরও শক্তিশালী করে সরকারি দলের হমলার সমুচিত জবাব দেয়া হবে বলেও জানান রাঙ্গা।

আলোচনায় অংশ নেন প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, গোলাম কিবরিয়া টিপু, সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, মিজানুর রহমান, কাজী মামুনুর রশিদ, জহিরুল আলম রুবেল, অধ্যাপক মহসিন-উল ইসলাম হাবুল, এসএম রহমান পারভেজ, ইকবাল হোসেন তাপস, শফিকুল ইসলাম মধু, সোমনাথ দে, সরু চৌধুরী জাহাঙ্গীর হোসেন মানিক প্রমুখ।

টিএস/এসএমএম