• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০১৯, ০৮:৫৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১৯, ২০১৯, ০৮:৫৫ পিএম

‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে তার রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে’

‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে তার রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে’
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক-ফাইল ছবি

জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে তার রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নৌ মন্ত্রণালয় আয়োজিত  ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন নৌ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুস সামাদ।

মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা সারা বিশ্বের মানবতাবাদী ও শোষিতের পক্ষের নেতা ছিলেন। তার নেতৃত্বগুণে বাংলাদেশ থেকে মিত্র বাহিনীর সৈন্যরাও চলে যায়। কোন যুদ্ধ নয়, ইরাকের হুমকির মুখে সৌদি আরবে মার্কিন সৈন্যরা আসে। কিন্তু এখনও সেখান থেকে মার্কিন সৈন্য সরে যায় নি।

তিনি বলেন, জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করেই শেষ করেন নি। তার সময়েই ১১৬টি রাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। চীন ও আরবের কিছু দেশ জাতির পিতাকে হত্যার পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।

জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল জিয়াউর রহমান তাদের মন্ত্রী বানিয়েছিল। এ জিয়াউর রহমান জাতির পিতার আত্ম-স্বীকৃত খুনিদের বাঁচাতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল। জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে তার রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে।

প্রধান আলোচক জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বলেন, জাতির পিতা ক্ষমতার চেয়ে জনসেবা ও জনগণের পক্ষে আন্দোলনকে ভালবেসেছেন। একাত্তরে প্রমাণ হয়েছে জাতির পিতা চাইলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন; কিন্তু তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চেয়েছেন।

আনিসুজ্জামান বলেন, জাতির পিতা সংবিধানের চার মূলমন্ত্রের মধ্যে সমাজতন্ত্রকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। তিনি সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করতে চেয়েছিলেন। ঠিক ওই সময়েই ঘাতকরা জাতির জনককে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণা আমাদের মাঝে আছে। তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে অনেক দূর এগিয়ে এনেছেন। বৈষম্যহীন ও অসাম্প্র্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে হবে। কারণ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর কাছে অসীম ঋণে আবদ্ধ।

জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বলেন, ২৩ মার্চ জিয়াকে অনুরোধ করার পরও ক্যান্টনমেন্ট ছেড়ে কক্সবাজারের দিকে চলে যায়। সে আশেপাশে থাকলে পাকিস্তানি সেনারা বাঙালি সৈনিকদের মারতে পারত না।

এএইচএস/এসএমএম

আরও পড়ুন