• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৯, ০৩:৫৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৯, ০৩:৫৬ পিএম

‘উন্নয়নের নামে চলছে দুর্নীতির মহোৎসব’

‘উন্নয়নের নামে চলছে দুর্নীতির মহোৎসব’
ক্ষেতমজুর সমিতি আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন নেতৃবৃন্দ -ছবি : জাগরণ

গরিবদের ভাগ্যের উন্নয়ন না করে লুটেরাদের পকেট ভরার মধ্য দিয়েই চলছে সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। 

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ক্ষেতমজুর সমিতি আয়োজিত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

সংগঠনের সভাপতি সোহেল আহমেদের সভাপতিত্বে এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক অর্ণব সরকার বাপ্পীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রেজা, সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. ফজলুর রহমান, আবদুল মালেক শিকদার, সদস্য এনামুল হক।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি শামছুজ্জামান সেলিম, সহ-সভাপতি সৈয়দ আহমদ, মৃন্বয় মণ্ডল, পরেশ কর, চিত্ত গোলদার, নির্বাহী কমিটির সদস্য অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, মোতালেব হোসেন, আরিফুল ইসলাম নাদিমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, লুটপাটের ধারাবাহিকতায় বালিশ কেনা, পর্দা কেনার দুর্নীতির ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। গরিব মানুষের জন্য সরাসরি নানা কর্মসূচি ও প্রকল্পের যে বরাদ্দ থাকে তার সিংহভাগই লুটপাট হয়ে যাচ্ছে। গরিব মানুষের জন্য বরাদ্দ গরিব মানুষকেই ঘরে তুলতে হবে।  গ্রামে সারা বছর কাজ না থাকলেও সরকার এসব গ্রামীণ সর্বহারা শ্রেণির ব্যাপারে নিবির্কার। কর্মহীন সময়ে গ্রামের এই বঞ্চিত মানুষগুলো বেঁচে থাকার আশায় শহরে ছুটে যায়। কিন্তু সেখানে অমানবিক জীবনযাপন তাদের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলে। হাওরাঞ্চলের গরিব মানুষসহ দেশের বেশিরভাগ গ্রামের মানুষ ঋণের জালে জর্জরিত।

বক্তারা অবিলম্বে খাইখালাসি ধরনের আইন করে এনজিও ঋণের অত্যাচার বন্ধের দাবি জানান।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ক্ষেতমজুররা যখন বয়স্ক হয়ে যায় তখন আর তারা পরিশ্রম করতে পারে না, ফলে তাদের ওই সময় না খেয়ে বিনা চিকিৎসায় ধুঁকে ধুঁকে মরতে হয়। সরকারের পক্ষ যে যৎসমান্য বয়স্ক ভাতা দেয়া হয় তা প্রকৃত গরিব বয়স্করা পায় না। সেখানেও চলে স্বজনপ্রীতি ও লুটপাট।

টিএস/এসএমএম