বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশ চালাতে ব্যর্থ হয়ে সরকার এখন জুয়ার আশ্রয় নিয়েছে। সরকার দেশকে জুয়াড়িদের দেশে পরিণত করেছে। অনিয়ম-দুর্নীতির দায় নিয়ে সরকারের এখনই পদত্যাগ করা উচিত।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত  মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ক্যাসিনো ব্যবসার ঘটনায় ক্ষমতাসীনদের পাপের ইতিহাস বেরিয়ে এসেছে।  

এ সময় সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমরা চাই এখনও আপনাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। দেশের মানুষের গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিন এবং খালেদা জিয়ার মুক্তিতে কোনো বাধা হবেন না। তাকে আইনগতভাবে মুক্তি দিন। ভোট চুরি করে যে পার্লামেন্ট গঠন করেছে তা বাতিল করেন। নিরপেক্ষ কমিশনের অধীনে নির্বাচন দিন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে আওয়ামী লীগের ছোট নেতা, পাতি নেতাদের দাপটে দেশে থাকা যাচ্ছে না। সরকারি কর্মচারীরা চুপচাপ চলে যায় মান-সম্মান, ইজ্জত নিয়ে। যা হুকুম করে তাই করতে হয়। চাঁদা দাও নয়তো যাও। আজকে মাটি খুঁড়তে বেড়িয়ে আসছে সরকারের পাপের ইতিহাস। কেঁচো খুঁজতে গিয়ে সাপ বের হয়ে আসছে। 

তিনি বলেন, আজকে সরকারের লোকেরা ইচ্ছামতো মানুষ খুন করে, ক্রস ফায়ারিং করে। বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হচ্ছে। আমাদের নেতাকর্মীদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়, জিজ্ঞাসা করলে বলা হয় জানি না। নিখুঁতভাবে গুম হয়ে যায়। আমাদের এমপি পর্যন্ত বাদ যায়নি। 

গত এক বছরে বিদেশে ২৭ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে দাবি করে তিনি আরও বলেন, ক্যাসোনোগুলোতে কাজ করে বিদেশীরা এবং তারাই দেশের টাকা বিদেশে পাচার করছেন। 

খালেদা অসুস্থতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা একবারও বলি নাই বেগম জিয়াকে দয়া করে ছেড়ে দিন। দেশের একজন নাগরিক হিসেবে তার যেটা প্রাপ্য সে অধিকার থেকে থাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। 

তিনি বলেন, আমরা কোর্টে যাই জামিনের জন্য।  বিচারপতি সব শুনে বক্তব্য শুনে চলে যান। বলেন পরে আদেশ দেব। যখন উপর থেকে নির্দেশ আসে তখন তিনি আদেশ দেন। এখন দেশে বিচার বিভাগের কোনো স্বাধীনতা নেই। সরকার বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করছে। 

মির্জা ফখরুল বলেন, অনেকে দোষারোপ করেন পুলিশকে। পুলিশ কী করবে। উপরমহল থেকে যা হুকুম হয়, নির্দেশ হয় পুলিশকে তা পালন করতে হয়। তারা হুকুম দিয়েছে দেশে যারা গণতন্ত্র চায়, তাদের মারো, তারা মেরেছে। হুকুম দিয়েছে নির্বাচনের সকল কেন্দ্র দখল করো করেছে।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।

টিএস/বিএস/একেএস