• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০১৯, ০৩:৪০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ৮, ২০১৯, ০৪:৫৩ পিএম

বাবার প্রতি মানুষের ভালোবাসায় আপ্লুত ছেলে ইশরাক

বাবার প্রতি মানুষের ভালোবাসায় আপ্লুত ছেলে ইশরাক
গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন খোকা তনয় ইশরাক

দলমত নির্বিশেষে সর্বসাধারণের ভালোসাবায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রয়াত মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। 

শুক্রবার (০৮ নভেম্বর) দুপুরে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি একথা জানান।
 
ইশরাক বলেন, সবাইকে জানাই অশেষ ধন্যবাদ। আমার বাবা শেষ দিকে মায়ের কাছে এটাই বলতেন সবাই যেন তাকে দেখতে আসে। মহান আল্লাহ তাআলা তার কর্মের যথাযথ সম্মান তাকে দুনিয়াতে দিয়েছেন। ইনশাল্লাহ আখেরাতেও দিবেন। আপনাদের প্রতি আমি চির কৃতজ্ঞ।

গত ৪ নভেম্বর নিউইয়র্কে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাদেক হোসেন খোকা। সাধারণ মানষের ভালবাসা ও চোখের জলে ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জুরাইন কবরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে সমাহিত করা হয়। এর আগে সকালে নিউইয়র্ক থেকে তার মরদেহ ঢাকায় পৌঁছায়। সেখানে বিমানবন্দরে প্রিয় নেতার মরদেহ আনতে অসংখ্য নেতাকর্মী ভিড় করেন।

বিমানবন্দর থেকে তাকে নেয়া হয় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়। সেখানে নামাজে জানাজা শেষে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য নিয়ে আসা হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে । শহীদ মিনার থেকে বেলা দুইটার আগে মরদেহ নেয়া হয় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে । তারপর তার সেই প্রিয় কর্মস্থল নগর ভবনে নেয়া হয়। সেখান থেকে তার নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপীবাগের ধূপখোলা মাঠে। সেখানে জানাজা শেষে নিয়ে যাওয়া হয় জুরাইনের কবরস্থানে। ওখানেই তার দাফন অনুষ্ঠিত হয়।

বিমানবন্দর থেকে শুরু করে জুরাইন কবরস্থান পর্যন্ত অসংখ্য মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হয়েছেন সাদেক হোসেন খোকা। খোকার কফিনে শ্রদ্ধা জানাতে এসে হাউমাউ করে কেঁদেছেন অসংখ্য মানুষ । তাকে ব্হনকারী গাড়ি বহরের সঙ্গে দৌঁড়েছেন অনেকে পাগলের মত। এত ভালোবাসা  তিনি পেয়েছেন, যা অকল্পনীয়। প্রতিটি জায়গায় অসংখ্য নেতাকর্মীর ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন তিনি।

বাবার প্রতি মানুষের এত ভালোবাসা দেখে আপ্লুত তার ছেলে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। বাবার আদর্শ ধারণ করে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চান। 

আসন্ন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ইশরাক।

টিএস/বিএস