• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০১৯, ১০:২৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১৪, ২০১৯, ১২:৫৪ এএম

কেন্দ্রের পর সম্মেলন, বর্তমান নেতৃত্বের বলয় ভাঙছে

কেন্দ্রের পর সম্মেলন, বর্তমান নেতৃত্বের বলয় ভাঙছে
সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের পদায়নের প্রত্যাশা 

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ‘শক্তিশালী’ সহযোগী সংগঠন যুবলীগের জাতীয় সম্মেলন আগামী ২৩ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় যুবলীগের শক্তিশালী খুঁটি হিসেবে পরিচিত ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের শাখা যুবলীগ। ক্যাসিনোকাণ্ডসহ নানা কারণে বেশ বিতর্কিত যুবলীগের এই দুটি ইউনিট সাংগঠনিকভাবেও বেশ কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়েছে। 

যুবলীগ সূত্রে জানা গেছে, এবার যুবলীগের বর্তমান যে নেতৃত্ব রয়েছে তাদের বলয় ভাঙনের কবলে। আগামীতে মহানগর যুবলীগের রাজনীতিতে তাদের আধিপত্য থাকার সুযোগ অনেকাংশেই কমে যাবে বলে যুবলীগ সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। এ ছাড়া যুবলীগ মহানগরের রাজনীতিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের সুযোগ দিয়ে সংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে অভিজ্ঞদের জায়গা জায়গা করে দেয়া প্রয়োজন বলে যুবলীগ সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। 

এদিকে যুবলীগের কেন্দ্রীয় সংগঠনের তারিখ ঘোষণা হলেও ঢাকা মহানগর যুবলীগের সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ হয়নি। তাই যুবলীগের সম্মেলন হবে কি না এই বিষয় নিয়েই দ্বন্দ্বে রয়েছেন সংগঠনের অনেক নেতা। তবে যুবলীগের সম্মেলন সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পরই হবে মহানগর যুবলীগের সম্মেলন। দলীয় হাইকমান্ড চাইলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনও হতে পারে।

জানা গেছে, যুবলীগের মহানগর (উত্তর-দক্ষিণের) সম্মেলনে তারিখ ঘোষণা না হলেও থেমে নেই এ দুই ইউনিটের পদ-প্রত্যাশীদের প্রতিযোগিতা ও তোড়জোড়। সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পরই নতুন নেতৃত্ব আসবে এরা ধরে নিয়েই মহানগর নেতারা চালিয়ে যাচ্ছে লবিয়িং ও তদবির। পাশাপাশি ক্যাসিনোকাণ্ডসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্তদের সঙ্গে বর্তমান পদপ্রত্যাশীদের নাম যুক্ত করে কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়ি দৃশ্যমান হচ্ছে যুবলীগের এই গুরুত্বপূর্ণ দুই ইউনিটে।

যুবলীগের ঢাকা মহানগরের নতুন নেতৃত্ব প্রসঙ্গে জানতে চাইলে যুবলীগের ৭ম জাতীয় কংগ্রেসের আহ্বায়ক চয়ন ইসলাম দৈনিক জাগরণকে বলেন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের পরে যারা নতুন নেতৃত্বে আসবেন, তাদের নেতৃত্বেই মহানগর সম্মেলন হবে। তবে যুবলীগের মহানগর নেতারা জানাচ্ছেন, ডিসেম্বরের আগে যুবলীগ মহানগরের সম্মেলন হলেই ভালো। তা হলে আগামী জানুয়ারিতে নির্ধারিত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে একটি সংগঠিত মহানগর যুবলীগ কাজ করতে পারবে। 
তবে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড যা সিদ্ধান্ত নেবেন, তা-ই চূড়ান্ত বলে যুবলীগের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানাচ্ছে। মহানগর যুবলীগ সূত্রে জানা গেছে, এবার আর মহানগরের বর্তমান কমিটির শীর্ষ নেতৃত্ব যারা রয়েছেন তাদের আধিপত্য থাকছে না। তারা সাবেক হওয়ার পর তাদের একক কোনো প্রার্থীও তারা দিয়ে যেতে পারছেন না। কারণ যুবলীগের মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ক্যাসিনোকাণ্ডসহ নানা অপকর্মের কারণে জেলে রয়েছেন। ফলে যুবলীগে অন্য কোনো পদে তার অনুসারীরা আসার কোনো সুযোগ নেই বলেই আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা গেছে। এ ছাড়া ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি মাঈনুল হোসেন খান নিখিল এবার ঢাকা মহানগর যুবলীগের পদপ্রত্যাশী না। তিনি এবার তার একক কোনো প্রার্থী দিয়ে যেতে পারছেন না।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা মহানগর যুবলীগের এক নেতা দৈনিক জাগরণকে বলেন, মাঈনুল হোসেন খান নিখিল সংগঠনের অন্তত ২০ জনকে বলেছেন, প্রার্থী হলে তিনি দেখবেন। ফলে মহানগর উত্তর যুবলীগের রাজনীতিতে উনার বলয় ভাঙছে, এটা প্রায় চূড়ান্ত।           
যুবলীগের মহানগর নেতারা বলছেন, ক্যাসিনোকাণ্ডে যুবলীগের সবচেয়ে ইমেজ সংকটসহ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ঢাকা মহানগর। তবে সংগঠনের নেতারা ভবিষ্যতে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে চান। এজন্য দলীয়প্রধান শেখ হাসিনা যুবলীগে যেমন নেতৃত্ব চান এমন নেতৃত্ব আনলেই বিষয়টির সমাধান হওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের আরও অনেক সুযোগ যুবলীগে দেয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি মহানগর যুবলীগের অভিজ্ঞদের সমন্বয়ও প্রয়োজন। তবে শীর্ষ নেতৃত্বে যুবলীগের বাইরে থেকে নেতৃত্ব না এলেই তা সংগঠনের জন্য উত্তম। কারণ যারা মাঠের রাজনীতি করেন তারা এরইমধ্যে যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে পরিচিত। এখন যদি সংগঠনের বাইরে থেকে কেউ নেতৃত্বে আসে তবে না মহানগর যুবলীগের রাজনীতিতে ভালো প্রভাব বয়ে আনবে না। বর্তমান কমিটিতে ক্লিন ইমেজের যারা রয়েছেন তাদের বেছে শীর্ষ নেতৃত্বে এনে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের কমিটিতে জায়গা করে দিলে সংগঠনের ভালো হবে বলেই যুবলীগের বর্তমান মহানগর নেতারা মনে করেন। 
     
যুবলীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের দফতর সম্পাদক কামারুজ্জামান কামরুল দৈনিক জাগরণকে বলেন, আমরা চাই যুবলীগে নেত্রী (শেখ হাসিনা) যেমন নেতৃত্ব চান তেমন মানুষ নেতৃত্বে আসুক। তবে ক্লিন ইমেজের নেতৃত্বের সঙ্গে অভিজ্ঞতার সমন্বয় হওয়া প্রয়োজন।  

মহানগর যুবলীগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা জানিয়েছেন, দীর্ঘ সময় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় এবং দলটির সহযোগী সংগঠনগুলোর সম্মেলন না হওয়া এবং নেতাকর্মীরা দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ায় দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় সম্মেলনের পাশাপাশি যুবলীগসহ অন্যান্য সংগঠনের সম্মেলনের মাধ্যমে ক্লিন ইমেজের দক্ষ ও নিবেদিতপ্রাণ নতুন নেতৃত্ব খোঁজা হচ্ছে। সংগঠনটিকে নেতিবাচক ধারা থেকে বের করে ইতিবাচক ব্র্যান্ডে যুক্ত করতে চান আওয়ামী লীগ সভাপতি। তাই একদিকে চলছে শুদ্ধি অভিযান, অন্যদিকে নতুন নেতৃত্বের খোঁজ। সেই লক্ষ্যে দেশের রাজনীতিতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী নিজেই পরিচালনা করছেন শুদ্ধি অভিযান। এর ফলে রাজনৈতিক মহলের মানুষদের সঙ্গে সাধারণ মানুষদেরও কৌতূহলের শেষ নেই।
নেতৃত্বর বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, দলের সহযোগী সংগঠনের সকল ইউনিটের কাউন্সিলে পরিচ্ছন্ন ও ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিই স্থান পাবেন। তবে কোনো বিতর্কিত, দুর্নীতিতে জড়িত ও চাঁদাবাজদের স্থান দেয়া হবে না।

যুবলীগের মহানগর সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মহানগর দুই ইউনিটে শীর্ষ পদ পেতে প্রায় দেড় ডজন নেতাকর্মী দৌড়ঝাঁপ চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমান কমিটির অনেকেই নিজেদের পদ-পদবি বাড়ানো বা শীর্ষ স্থান পেতে ব্যাপক তৎপর। অন্যদিকে পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে এক নেতা অন্য নেতার উপরে চলমান অভিযান ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। আর অভিযুক্তরা বলছেন- কারা ক্যসিনোকাণ্ডে জড়িত তাদের বিষয়ে নেত্রী (শেখ হাসিনা) অবগত রয়েছেন। 
   
ঢাকা মহানগর উত্তরে আলোচনায় যারা :
ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগে শীর্ষ নেতৃত্বে আলোচনার রয়েছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, সভাপতি পদপ্রত্যাশী বর্তমান কমিটির প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাসভীরুল হক অনু, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া সেলিম ও উপ-দফতর সম্পাদক এ এইচ এম কামরুজ্জামান কামরুল।

ইসমাইল হোসেন : উত্তর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা ইসমাইল হোসেন আগামী সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন বলে জানা গেছে। বর্তমান নেতৃত্বের কারণে অভিজ্ঞতাই তার অন্যতম কারণ। তিনি আগামীতে সভাপতি হতে পারেন, বলছেন নেতাকর্মীরা।  

(বাঁ থেকে) মো. ইসমাইল হোসেন, তাসভীরুল হক অনু, মো. শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া সেলিম, এ এইচ এম কামরুজ্জামান কামরুল।

যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল এবারও মাঠে রয়েছেন। তবে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে গুলশান, বনানী, বারিধারায় নানা অপকর্মে যুক্ত থাকার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।   
 
উত্তরে যুবলীগের সভাপতি মইনুল হোসেন খান নিখিল এর আগের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে যুবলীগের বয়সসীমা ৫৫ বছর করার কারণে তিনি বাদ পড়ে যাচ্ছেন। ফলে উত্তর যুবলীগের মাঠে সভাপতি প্রার্থী হিসাবে ইসমাইল হোসেন এককভাবে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন। 

কামরুজ্জামান কামরুল : ঢাকা মহানগর উত্তরে ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে পরিচিত উত্তরের যুবলীগের বর্তমান উপ-দফতর সম্পাদক এ এইচ এম কামরুজ্জামান কামরুলের নাম এ ইউনিটে র্শীষ পদে শোনা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে ওয়ার্ড ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে শুরু কার কামরুজ্জামান সাবেক ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক দফতর সম্পাদক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অপকর্ম ও সাংগঠনিক অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের নেতাকর্মীদের কাছে জনপ্রিয়। উত্তর যুবলীগের আগামী সম্মেলনে শীর্ষ পদে কামরুজ্জামান কামরুলের নাম কর্মীদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। বিরোধী দলে থাকাকালে ২০০১ সালে বিরোধী দলের রাজনীতিতে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে রাসেল স্কয়ারে তিনি নির্যাতনের শিকার হন। 

তাসভীরুল হক অনু : ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের বর্তমান প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাসভীরুল হক অনুর নামও শোনা যাচ্ছে। তিনি ২০০২-২০১০ ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। দৈনিক জাগরণকে তিনি বলেন, যুবলীগে নেত্রী যেমন কমিটি চান তেমনটা আমিও চাই। যারা রাজপথে রাজনীতি করেছে, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও স্বচ্ছ ও ক্লিন ইমেজের, তাদেরই নেতৃত্বে আনা হোক, এটাই চাই।  

যুবলীগ মহানগর দক্ষিণে আলোচনায় যারা :
যুবলীগ মহানগর দক্ষিণ সূত্রে জানা গেছে, চলমান সরকারের শুদ্ধি অভিযানে ক্যাসিনোকাণ্ডের বেশি প্রভাব প্রড়েছে মহানগর দক্ষিণ যুবলীগে। তাই যুবলীগের এ ইউনিটে অনেক প্রভাবশালী প্রার্থীরা দৌড়ঝাঁপ চলিয়ে গেলেও সরাসরি সামনে আসছে না। তাদের অনেকেই নিজেকে ক্লিন প্রমাণ করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা। দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক সভাপতি সম্রাট গ্রেফতারের পরে তাকে সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি মহানগর দক্ষিণের সভাপতি প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন। 

(উপরে, বাঁ থেকে) রেজাউল করিম রেজা, আহম্মেদ উল্লাহ মধু, খন্দকার আরিফুজ্জামান আরিফ, (নিচে, বাঁ থেকে) সাইফুল ইসলাম আকন্দ, সৈয়দ আলাওল ইসলাম সৈকত, তৌফিদুল ইসলাম বুলবুল।

আলোচনায় রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এ দায়িত্ব পালন করছেন। আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি আহম্মেদ উল্লাহ মধু। তিনি মহানগর দক্ষিণের র্শীষ নেতৃত্বে আলোচনায় রয়েছেন। এ ছাড়াও মহানগর দক্ষিণে সভাপতি পদে আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান কমিটির দফতর সম্পাদক এমদাদুল হক এমদাদ।

মহানগর দক্ষিণ যুবলীগে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী বর্তমান কমিটির উপ-দফতর সম্পাদক খন্দকার আরিফুজ্জামান আরিফ। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক। ছাত্র রাজনীতি করার সময় তিনি কর্মীবান্ধব বলে সুপরিচিত ছিলেন। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হতে পারেন বলে আলোচনায় রয়েছে। যুবলীগ মহানগর বর্তমান দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুর রহমান ও গাজী সরোয়ার হোসেন বাবুও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী। এ ছাড়া মহানগর দক্ষিণ যুবলীগে সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী হিসেবে রয়েছেন ছাত্রলীগের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম আকন্দ। তিনি ক্লিন ইমেজের সাবেক ছাত্র নেতা ও দক্ষ সংগঠক হিসেবে পরিচিতি। 

এ ছাড়াও ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক তৌফিদুল ইসলাম বুলবুলও আলোচনায় রয়েছেন। তিনি ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী। আলোচনায় রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতিও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ আলাওল ইসলাম সৈকত। 

আলোচনায় রয়েছেন সহরাওয়ার্দী সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগের বর্তমান কমিটির সদস্য আজিজুল হক শামীমের নামও।

তৌফিদুল ইসলাম বুলবুল বলেন, বিরোধী দলে ও ১/১১ প্রেক্ষাপটে রাজপথে থেকে রাজনীতি করেছি। কোনো রকমের অপকর্মে জড়াইনি। এখন নেতৃত্বে আসতে পারলে দলের জন্য আরও ভালোভাবে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

এএইচএস/ এফসি