রাজধানীর যেখানেই বিএনপির কর্মসূচি থাকতো সেখানেই ছিল রিজভী হাওলাদারের সবর উপস্থিতি। কখনও কাফনের কাপড়ে শরীর মুড়ে, কখনও ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’ কখনও বা ‘তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার চাই’ ব্যানারে নিজেকে মুড়িয়ে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতেন তিনি। সেই ‘বিএনপি পাগল’ রিজভী হাওলাদার কাফনের কাপড় পড়েই চির বিদায় নিলেন নয়াপল্টন এলাকা থেকে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাত ১০টা ২০ মিনিটে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তিনি মারা যান। যেখানে দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে ছিল তার উপস্থিতি।
রিজভী হাওলাদারের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ছোট্টকান্দা গ্রামে হাওলাদার বাড়ি। তার বাবার নাম আজহার হাওলাদার। নারায়ণগঞ্জের কুতুবপুরে থাকেন তিনি। সেখানে তার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
প্রায় প্রতিদিন ভোরে বিএনপি কার্যালয় এলাকায় আসতেন রিজভী হাওলাদার। রাতে আবার নারায়ণগঞ্জ পাগলায় ফিরে যেতেন। তাকে নিয়ে ইতোপূর্বে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।
ছাত্রদলের দফতরের দেখভাল করা সাবেক দফতর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী দৈনিক জাগরণকে জানান, রাতে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়লে রিজভী হাওলাদারকে কাকরাইলে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। এরপরও ডাক্তার ডেকে আনা হয়। ডাক্তার এসে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তাকে বিএনপি কার্যালয়ের নিচে এনে রাখা হয়।
সংবাদ পেয়ে দ্রুত সেখানে আসেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, উপর থেকে নীচে নেমে আসেন কার্যালয়ে অবস্থানকরা সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলসহ অন্য নেতারা।
সাত্তার পাটোয়ারী জানান, রাত দেড়টায় নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রিজভী হাওলাদারের নামাজে জানাজা শেষে একটি ফ্রিজিং লাশবাহী গাড়িতে রিজভীর মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সব ব্যবস্থা বিএনপির পক্ষ থেকেই করা হয়েছে।
টিএস/একেএস