• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০১৯, ০৩:১১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ১০, ২০১৯, ০৩:১১ পিএম

ড্যাব বিএসএমএমইউ নেতাদের হুঁশিয়ারি

খালেদা জিয়াকে ব্যক্তিগত চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসার দাবি 

খালেদা জিয়াকে ব্যক্তিগত চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসার দাবি 
সংবাদ সম্মেলনে ড্যাব বিএসএমএমইউ নেতারা - ছবি : জাগরণ

জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আগেই খালেদা জিয়াকে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করানোর দাবি জানিয়েছেন ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) বিএসএমএমইউ শাখার নেতারা। পাশাপাশি খালেদা জিয়াকে জামিন দিয়ে মুক্ত পরিবেশে তার পছন্দমতো হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ দেয়ারও দাবি জানিয়েছেন তারা। ড্যাব নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, অন্যথায় চিকিৎসক সমাজ নীরবে বসে থাকবে না। দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন গড়ে তুলবে। 

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা নিয়ে ড্যাব বিএসএমএমইউ শাখা আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসক নেতারা এসব কথা বলেন। 

সংবাদ সম্মেলনে ড্যাব বিএসএমএমইউ শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. শেখ ফরহাদ লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান। তিনি বলেন, ইদানীং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য সম্পর্কে গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে গত ২৮ অক্টোবর বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ সংবাদ সম্মেলন করে। তারা অসত্য বিভ্রান্তিমূলক ও পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। আমরা মনে করি, খালেদা জিয়াকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তিলে তিলে নিঃশেষ করে দেয়ার অপপ্রয়াসে তার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অসত্য সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে।  

ডা. শেখ ফরহাদ বলেন, খালেদা জিয়া চরম অসুস্থতায় ভুগছেন। ধীরে ধীরে তিনি পঙ্গুত্বের দিকে যাচ্ছেন। এই সময় যথাযথ চিকিৎসা না দিলে তার এই অবস্থা স্থায়ী রূপ নিতে পারে। অথচ বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ সরকারের অশুভ ইশারায় জাতিকে বিভ্রান্ত করতে ও খালেদা জিয়ার প্রাপ্য জামিন ভণ্ডুল করতে সত্য গোপন করছে। 

ডা. ফরহাদ আরও বলেন, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া গাড়ি থেকে নেমে নিজ পায়ে হেঁটে জেলখানায় প্রবেশ করেন। নিজে হেঁটে দোতলায় তার নির্ধারিত রুমে যান। এমনকী জেলখানায় থেকে আগেরবার যখন বিএসএমএমইউতে আসেন তখন গাড়ি থেকে নেমে নিজে লিফট পর্যন্ত হেঁটে যান। সময়ের পরিক্রমায় তিনি কীভাবে আজকের অবস্থায় উপনীত হলেন? স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, সঠিক চিকিৎসার অভাবে তিনি ধীরে ধীরে এই অবস্থায় উপনীত হয়েছেন। 

ড্যাবের এই নেতা বলেন, একজন রোগীর মেডিকেল রিপোর্ট পেশ করতে এত সময় লাগার কারণ নেই। আমাদের জানামতে, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকগণ তার মেডিকেল রিপোর্ট দুই দফা প্রস্তত করে বিএসএমএমইউর ভিসির কাছে জমা দিয়েছেন। এরপরও অধিকতর পরীক্ষার নামে কালক্ষেপণের মাধ্যমে তাকে স্বাস্থ্য ঝুঁকির দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। যা বাংলাদেশের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। এটা খালেদা জিয়াকে মৃত্যু ঝুঁকির দিকে ধাবিত করার অপকৌশল। 

সংবাদ সম্মেলনে ড্যাবের সহ-সভাপতি ডা. হেলাল উদ্দিন, উপদেষ্টা ডা. মো. সহিদুর রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব ডা. কাজী মাযহারুল ইসলাম দোলন,  ড্যাব বিএসএমএমইউ শাখার সভাপতি ডা. এরফানুল হক সিদ্দিকী, সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. শহিদুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. শহিদুল হক রাহাত, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, দফতর সম্পাদক ডা. মো. মশিউর রহমান কাজল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

টিএস/ এফসি

আরও পড়ুন