• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০২০, ০৭:২০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১৭, ২০২০, ০৯:০৪ পিএম

‘বিএনপিকে ভোট দেয়ার কোনও কারণ নেই’

‘বিএনপিকে ভোট দেয়ার কোনও কারণ নেই’

‘নির্বাচনে আমরা অবশ্যই বিজয়ী হবো’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য আবদুর রহমান বলেছেন, এটা তাদের নতুন কথা নয়। তারা পুরানো কথাই নতুন করে বলে। তবে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা গত ১০ বছরে বাংলাদেশের মানুষকে যে অভাবনীয় উন্নয়ন উপহার দিয়েছে তাতে আমি আশা করি বিএনপিকে কোনও অর্থেই ভোট দেয়ার কোনও কারণ নেই। সুতরাং মানুষ যদি তাদের ভোট না দেয় তাহলে তারা কিভাবে বিজয়ী হবে আমার জানা নেই। 

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্য়ালয়ে ছাত্রলীগের ‘লিডারশীপ ওরিয়েন্টেশন’ কার্যক্রমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন কথা বলেন।

আবদুর রহমান বলেন, আমি মনে করি দেশের মানুষ উন্নয়নের যে চিত্র এবং উন্নয়নের যে সুফল তারা ভোগ করছে সেই কারণে আওয়ামী লীগের বঙ্গবন্ধু কন্যার মনোনীত প্রার্থীকেই তারা ভোট দেবে এবং নৌকা মার্কাকেই বিজয়ী করবে।

সিটি নির্বাচনে বিএনপির অভিযোগ প্রসঙ্গে আবদুর রহমান বলেন, এই অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। এটা নেহায়েতই রাজনৈতিকভাবে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের একটা অপচেষ্টা মাত্র। নির্বাচনের এই পর্যন্ত ঢাকা সিটির কোথাও কোনওি জায়গায় এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি, যাতে নালিশ কিংবা অভিযোগ জানানোর মতো কারণ সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি সরকার দলীয় প্রার্থীর পক্ষেও থেকে হয়নি। এবং যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে তাদের পক্ষ থেকে এমন কোনও বিষয় বা ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে প্রমাণ করার মতো কোনও কারণ তাদের হাতেও নেই। সুতরাং এটা শুধু রাজনৈতিক অভিযোগ। এই অভিযোগ আমাদের আমলে নেয়ার কারণ নেই।

পূজার দিনে নির্বাচন নিয়ে একটা বিব্রতকর অবস্থা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই সভাপতিমণ্ডলির সদস্য বলেন, সেটি আমাদেরও বিব্রত করছে এবং আমরাও আজকে যে ছাত্ররা দাবি করছে তাদের সাথেও সহমত পোষণ করি। যে বিষয়টিকে যদি এড়িয়ে যাওয়া যেতো তাহলে এই বিব্রতকর অবস্থা থেকে আমরা সকলেই মুক্তি পেতাম। কিন্তু আসলেই তারিখের গোলমাল হয়েছে পঞ্জিকা দেখে। এই তারিখটি সেভাবে নির্ধারণ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব একটা এখতিয়ার আছে নির্বাচনের তারিখ ঠিক করার। সেই জায়গায়টায় একটু ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। এইটুকু না হলে ভালো হতো। তারপরও ছাত্র বন্ধুরা যেহেতু অত্যন্ত সহনশীলতার সঙ্গে অত্যন্ত ধৈর্য্যের সঙ্গে যৌক্তিকভাবেই বিচারালয়ের শরণাপন্ন হয়েছে এবং আদালতের তারা গিয়েছে; আদালত একটা রায় দিয়েছে। এবং সেই রায়টি তাদের জন্য সন্তোষজনক হয়নি। শুনেছি তারা উচ্চতর আদালতে যাবে। সুতরাং আদালতের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। বিষয়টি যখন আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে সুতরাং আদালতের রায় পর্যন্ত তাদের ধৈর্য্য ধরা উচিত। আমার মনে হয়, আদালত তার সুবিবেচনা প্রসুত যে রায় ঘোষণা করবে তার প্রতি আমরা সকলেই শ্রদ্ধাশীল থাকবো।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।  

এএইচএস/এমএইচবি/এসএমএম