• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২০, ০৬:৪০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১৮, ২০২০, ০৬:৪০ পিএম

নির্বাচনে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে সরকার ও ইসি : ঐক্যফ্রন্ট

নির্বাচনে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে সরকার ও ইসি : ঐক্যফ্রন্ট
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জেএসডির সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা আ স ম আবদুর রব - ছবি : কাশেম হারুন

আসন্ন ঢাকা সিটি নির্বাচনে ইভিএম বাতিলের দাবি জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। পাশাপাশি ফ্রন্টের অভিযোগ, নির্বাচনে ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে সরকার ও নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান জেএসডির সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা আ স ম আবদুর রব। ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার এবং নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে আ স ম আবদুর রব বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস নেই। সেই কারণে সুষ্ঠু ভোট ছাড়াই ক্ষমতা দখল ও ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার নিত্যনতুন কূটকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে। জনগণকে নানাভাবে হয়রানি ভয়-ভীতি সন্ত্রাস ও গ্রেফতারের মাধ্যমে নির্বাচন বিমুখ করা হয়েছে। নির্বাচনে ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে সরকার ও নির্বাচন কমিশন। আর ইভিএম ভোট চুরির নতুন পদ্ধতি। আল্লাহর ওয়াস্তে আপনারা ইভিএম পন্থা বাদ দিন। এটাকে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিন।

তিনি বলেন, যেকোনো যন্ত্র বা প্রযুক্তি চলে মানুষের কমান্ডে। কিন্তু যারা কমান্ডে আছে তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ইভিএমের মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করবে একথা বলাই বাহুল্য। ইভিএমে প্রযুক্তি এবং তথ্য পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে মধ্যরাতে ভোটের ধারাবাহিকতায় এটা হবে আরও একটি জঘন্য দৃষ্টান্ত। ইভিএম পদ্ধতি বিতর্কিত এবং সাংবিধানিকভাবে অগ্রহণযোগ্য। এভাবে ভোট করলে তা পুরো নির্বাচনি প্রক্রিয়া পদ্ধতি ও ব্যবস্থাকে অশুভ অভাঘাতের দিকে নিয়ে যাবে নিঃসন্দেহে।

জেএসডির সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ সংবিধানে নির্বাচন সম্পর্কে প্রকাশ্যে পেপার ব্যালটের কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে ভোটের গোপনীয়তা রক্ষিত হবে।  কিন্তু ইভিএমে ভোট এর গোপনীয়তা থাকে না, ভোটারদের কাছে কোনো প্রমাণ থাকে না। একটি সত্যিকারের গণতন্ত্রের মৌলিক অধিকার ও সংবিধান লংঘন। জনগণ সকল ক্ষমতার মালিক। গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ও প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনগণ সেই মালিকানা প্রতিষ্ঠা করেন। তারা সুষ্ঠু ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধ নির্বাচন করেন। কিন্ত বর্তমানে দেশে ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে নানাবিধ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। ভোট ছাড়াই নির্বাচন ও সরকার গঠিত হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক আবু সাঈদ, নুরুল আমিন বেপারী, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, সানোয়ার হোসেন, ঐক্যফ্রন্টের দপ্তর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।

টিএস/ এফসি