• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২০, ০৭:৩২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২৪, ২০২০, ০৭:৩২ পিএম

সোমবার নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা 

যে কদিন বাঁচব, বাঘের মতো বাঁচব : ইশরাক

যে কদিন বাঁচব, বাঘের মতো বাঁচব : ইশরাক

যে কদিন বাঁচব, বাঘের মতো বাঁচব, বিড়ালের মতো একদিনও বাঁচতে চাই না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। এসময় তিনি জানান, আগামী সোমবার (২৭ জানুয়ারি) নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করবেন তিনি।

নির্বাচনি প্রচারণার ১৫তম দিনে শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গেণ্ডারিয়া মাঠে এক সংক্ষিপ্ত পথসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে ৪৬ নং ওয়ার্ডের ফরিদাবাদ জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম মাদ্রাসায় পবিত্র জুমার নামাজ আদায়ের পর দিনের প্রচারণা শুরু করেন তিনি।

ইশরাক হোসেন বলেন, আমার বাবা একজন গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি বারবার এদেশের জন্য রক্ত ঝড়িয়েছেন। দেশ স্বাধীনের পর বারবার গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে নিজের তাজা রক্ত ঝড়িয়েছেন। প্রয়োজনে আমিও রাজপথে রক্ত ঝড়াব, গুলি খাব, মারা যাব, তারপরও ভয় পেয়ে পিছু পা হব না। বাবা বলতেন, আল্লাহ ছাড়া কোনো মানব সন্তানের কাছে মাথা নত করব না। তাই আমি বলব, আল্লাহ ছাড়া আমি আর কাউকে ভয় পাই না। কাউকে পরোয়া করি না। বাঁচতে হয় বাঘের মতো বাঁচব, বিড়ালের মতো একদিনও বাঁচতে চাই না। তাই আমি বলব- আপনারা সবাই সমান, কেউ বড়-ছোট নয়। কারো ক্ষমতা বেশি-কম নয়, সবার ক্ষমতা সমান। তাই কেউ কাউকে ভয় পাবেন না, কাউকে পরোয়া করবেন না। 

নির্বাচনি ইশতেহার কবে ঘোষণা করবেন- জানতে চাইলে ইশরাক হোসেন বলেন, আগামী সোমবার (২৭ জানুয়ারি) আমার নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণার দিন ঠিক করেছি। আমি যে প্রত্যেকদিন কথা বলতেছি বক্তব্য দিচ্ছি আমার প্রতিপক্ষের লোকেরা বিন্দুমাত্র ধারণা রাখে না। আমি প্রত্যেক দিনই ঢাকাবাসীর জন্য নানা পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলছি। কিন্তু তারা হয়তো এসব শুনছে না। কারণ তারা তো ব্যর্থ। গত ১৩ বছর ধরে তাদের দল ক্ষমতায়, গত ৯ বছর ধরে নগরের দায়িত্বে আছে তারা। কিন্তু তারা তো এখনো নগরের কোনো পরিবর্তন করতে পারেনি। 

ইশরাক বলেন, চারদিকে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার শুরু হয়েছে। দুঃশাসনের বিপক্ষে গণজোয়ার শুরু হয়েছে। এই দুঃশাসনের বিপক্ষে আপনারা আগামী পহেলা ফেব্রুয়ারি স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেন্দ্রে যাবেন এবং ধানের শীষে ভোট দিবেন। এই জনস্রোত দেখে নির্বাচন এবং বিএনপির বিজয়কে বানচাল করার যে ষড়যন্ত্র অপচেষ্টা করা হচ্ছে সেটা কখনোই সফল হবে না।

নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে আচরণবিধি লঙ্ঘনে কোনো নোটিশ পেয়েছেন কি না- এমন প্রশ্নে বিএনপির এই প্রার্থী বলেন, আমি এমন ধরনের কোনো নোটিশ পাইনি। আমার আইনজীবী যারা কাজ করছেন তাদের সঙ্গে আমার প্রতিনিয়ত যোগাযোগ হচ্ছে। সেখান থেকে জানতে পারছি এখন পর্যন্ত আমরা কোনো নোটিশ পাইনি।

ধর্মীয় উপাসনালয়গুলো উন্নয়নে আপনি কতটুক কাজ করেন এমন প্রশ্নে ইশরাক বলেন, আমি আমার বাবার রাজনৈতিক আদর্শটাকে মনে-প্রাণে ধারণ করি। আমি বলতে চাই, আমরা অসাম্প্রদায়িক দেশে বসবাস করি। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাস করি। দীর্ঘকাল ধরে এই এলাকায় আমরা হিন্দু এবং মুসলমান একসঙ্গে বসবাস করে আসছি। এই জায়গায় আমরা কোনো সাম্প্রদায়িক শক্তিকে স্থান দেইনি। আগামীতেও দেব না।

প্রচারণায় অংশ নিতে সকাল থেকেই দলীয় কর্মী-সমর্থকরা বাংলাবাজার ও ফরিদাবাদ এলাকায় জড়ো হন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।

টিএস/ এফসি