• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০, ০১:৪৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০, ০১:৪৯ পিএম

ঢাকাসহ সারা দেশে শনিবার বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল

ঢাকাসহ সারা দেশে শনিবার বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ● জাগরণ

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বিএনপি। ওইদিন দুপুর ২টায় রাজধানীর নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে গিয়ে শেষ হবে।

একই সময়ে সারাদেশেও বিক্ষোভ করবে দলটি।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষনা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, ওলামা দলের আহ্বায়ক নেসারুল হক, মৎস্যজীবী দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাহতাব ও কৃষকদলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার সুপরিকল্পিতভাবে খালেদা জিয়াকে হত্যা করার জন্য বেআইনিভাবে কারাগারে আটকে রেখেছে। আমরা তাকে বাঁচাতে চাই। তার মুক্তির জন্য সাংবিধানিকভাবে যত রকমের চেষ্টা করার আমরা সবই করছি। আইনগতভাবেও যত রকম পথ আছে সব রকম চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে এটা আইনের মধ্যে নেই। সেজন্য জনগণকে সাথে নিয়ে তার মুক্তির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, এখন পুরো ইচ্ছেটাই সরকারের হাতে। অন্যায়ভাবে তাকে গ্রেফতারের জন্য সরকারই দায়ী। এ ধরনের মামলায় ৭ দিনের মধ্যে জামিন হওয়ার কথা। সাধারণ নাগরিকও ৭ দিনে জামিন পায়। কিন্তু ওনাকে দু’বছর ধরে আটকে রাখা হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্যারোল প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে দলের মহাসচিব ফখরুল বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে প্যারোলের জন্য আবেদন করা হয়েছে কিনা সেটা আমার জানা নেই। পরিবারের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে আমাদের কিছু জানানো হয়নি।

বিক্ষোভ মিছিলের অনুমতি পেয়েছেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, অনুমতির প্রয়োজন নেই। আমরা বারবার বলেছি, এটা অনুমতির বিষয় না। তবে এ কর্মসূচি পালনে পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে এখন একটা ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ পরিচালনা করছে। তারা সম্পূর্ণ জোর করে ক্ষমতায় এসেছে। তাদের প্রতি জনগণের কোনও সমর্থন নেই। তারা রাষ্ট্রের সমস্ত যন্ত্রগুলোকে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করছে।

আওয়ামী লীগ ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না বলে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা তাদের নতুন চরিত্র নয়। ৭২ সালেও আমরা তাদের এই চরিত্র দেখেছি। ওই সময় যেসব রাজনৈতিক দল ও লোকেরা ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন তাদের ওপর নির্যাতন হয়েছে। সেই সময় নতুন একটি দল রক্ষীবাহিনী গঠন করে বিরোধীমতের ওপর তারা নির্যাতন চালিয়েছে। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা মানুষের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। আজকেও তারা একই কায়দায় সংবিধানকে কেঁটে-ছিড়ে ভিন্নপন্থায় একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করছে। জনগণের সম্মিলিত আন্দোলনেই এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন নিশ্চিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন ফখরুল।

টিএস/এসএমএম