বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় বলেই বর্তমান বিনাভোটের সরকার বিরোধী দল ও মতকে পরোয়া করছে না। মানুষের কল্যাণে কাজ না করে ক্ষমতার দাম্ভিকতায় ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে গোটা দেশকে দখলে নিতে চায় তারা। এই উদ্দেশ্য পূরণে সরকার এখন আরও বেশিমাত্রায় দানবীয় রূপ ধারণ করেছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে নিরবচ্ছিন্নভাবে রাষ্ট্রক্ষমতার স্বাদ পেতে বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্যই সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বিনা অপরাধে কারাবন্দী করে রাখা হয়েছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে গণমাধ্যমে দেয়া বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজধানীর মিরপুরে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ অতর্কিত হামলা করলে রিজভীসহ প্রায় ১০জন নেতা-কর্মী গুরুতর আহত হন।

এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সারাদেশে গুম, খুন, অপহরণ, বিচার বহির্ভূত হত্যা এবং বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে দলীয় সন্ত্রাসী বাহিনী ও পুলিশ দিয়ে হামলা সংঘটনের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আবারও অবৈধ পন্থায় রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার গভীর চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মিরপুরে রিজভী আহমেদের নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ হামলা আবারও প্রমাণ করলো দেশে এখন পুলিশি শাসন চলছে। বর্তমান অবৈধ ক্ষমতাসীনরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে দীর্ঘকাল জনগণের ওপর শোষণ-নির্যাতন চালাতে এবং বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে নিশ্চিহ্ন করতে বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, মিরপুরে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশি লাঠিচার্জ ও নেতা-কর্মীদের আহত করার ঘৃণ্য ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বিএনপি জানায়, শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মিরপুরে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে পুলিশ হঠাৎ মিছিলের ওপর বেধড়ক লাঠিচার্জ শুরু করে। পুলিশের লাঠিচার্জে রিজভী ছাড়াও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সহ-সভাপতি ওমর ফারুক কাউসার এবং ছাত্রদল ঢাকা কলেজ শাখার সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম তুহিনসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। আহত নেতৃবৃন্দ বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

টিএস/এসএমএম