• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ২৭, ২০২০, ০৪:৩৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ২৭, ২০২০, ০৪:৩৭ পিএম

‘নির্বাহী আদেশে খালেদার মুক্তি অসম্মানের’

‘নির্বাহী আদেশে খালেদার মুক্তি অসম্মানের’
খালেদা জিয়া ● সংগৃহীত

সরকারের নির্বাহী আদেশে ও শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়ার মুক্তিকে অসম্মানের মনে করছেন বিএনপি নেতারা।

তারা বলছেন, এর দায় স্থায়ী কমিটিকেই নিতে হবে। এমনকি দল প্রধানের মুক্তিতে পরিবারের সদস্যরা মূল ভূমিকায় থাকায়ও অস্বস্তিতে আছেন অনেকে।

তারা বলছেন, খালেদার মুক্তির বিষয়টির ফয়সালা হওয়া উচিত ছিল রাজপথে। এসব কারণেই দলের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে পরিবর্তন চান তারা। ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

আইনি প্রক্রিয়া বা রাজপথের আন্দোলন নয়, শেষ পর্যন্ত সরকারের নির্বাহী আদেশেই শর্তসাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি পেলেন খালেদা জিয়া। 

৬ মাসের এই সাজা স্থগিতের পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। ভাই শামীম ইস্কান্দার ও বোন সেলিমা ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে মানবিক বিবেচনায় নিশ্চিত করেছেন বোনের মুক্তি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের এই মুক্তিতে দলের কোনও ভূমিকা না থাকাকে ব্যর্থতা বলেই মনে করছেন দলটির নেতারা। বলছেন, নীতি-নির্ধারকরা রাজপথে পুরোপুরি ব্যর্থ।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আমাদের বিবেকের কাঠগড়ায় আমরা অপরাধী। আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারি নাই। এই ব্যর্থতার দায় আমার সহকর্মীরা বা অনুরাগীরা স্বীকার করুক বা না করুক এটা আমি অকপটে স্বীকার করি।

খালেদা জিয়ার মতো আপসহীন নেত্রীর মুক্তি রাজপথে হওয়া উচিত ছিল। এ অবস্থায় ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে নেতৃত্বে পরিবর্তন আনার পক্ষে দলের ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন।

নির্বাহী আদেশে মুক্তি স্থায়ী কমিটির জন্য লজ্জার বলেও মনে করেন তিনি।

খন্দকার মাহবুব হোসেন আরও বলেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য যে কোনও কারণে হোক তারা চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। আমরা ব্যর্থ হয়েছি খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য একটা সাধারণ আন্দোলন গড়তে পারলো না। নেতৃত্বে যখন ব্যর্থতা হয় তখন সে নেতৃত্বে অবশ্যই একটা পরিবর্তন হতে হবে। আর না হলে হয়তো বিএনপির কপালে আরও খারাপ আছে।

স্থায়ী কমিটিতে পরিবর্তন আসবে কি-না সুস্থ হওয়ার পর বিএনপি চেয়ারপারসনই ঠিক করবেন বলেও জানাচ্ছেন তারা।

তারা বলছেন খালেদা জিয়ার মতো আপসহীন নেত্রীর শর্তসাপেক্ষে মুক্তি অসম্মানের।

এসএমএম