• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০১৯, ০৪:৩৫ পিএম

বিরোধীদলীয় নেতা মন্ত্রীর মর্যাদা পাবেন?

বিরোধীদলীয় নেতা মন্ত্রীর মর্যাদা পাবেন?
জাতীয় সংসদ অধিবেশন -ফাইল ছবি
 
অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। আর প্রধান বিরোধী দল হতে যাচ্ছে জাতীয় পার্টি।

নিয়ম অনুযায়ী সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা মন্ত্রীর পদমর্যাদা পাবেন। তবে একাদশ জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা তা পাবেন কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কারণ বিরোধী দলের সংসদ সদস্য অন্তত মোট সংসদ সসদস্যের ১০ শতাংশ হতে হয়। কিন্তু জাতীয় পার্টি পেয়েছে মাত্র ২২টি আসন।

তাহলে একাদশ সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা কি মন্ত্রীমর্যাদা পাবেন না? এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক আইনমন্ত্রী ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শফিক আহমেদ দৈনিক জাগরণকে বলেন, সংসদীয় কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী বিরোধীদলীয় নেতা মন্ত্রীর পদমর্যাদা পাবেন কি না, তা ঠিক করবে সংসদ।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ এককভাবে ২৫৯ আসনে জয়লাভ করে চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। তবে এখন সর্বত্র আলোচনা চলছে একাদশ সংসদের বিরোধী দল নিয়ে। 

আলোচনা হচ্ছে- আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করা জাতীয় পার্টি বিরোধী দলে যাবে কি না? গেলে বর্তমান বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদই বিরোধীদলীয় নেতা হবেন, নাকি দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ হবেন- তা নিয়ে চলছে আলোচনা। একইসঙ্গে  চলছে বিরোধীদলীয় নেতার মন্ত্রীমর্যাদা পাওয়া বা না-পাওয়ার বিষয়টি।

এদিকে তৃতীয় সর্বোচ্চ আসন পাওয়া বিএনপি সংসদ সদস্য হিসেবে শপথই নেবে না বলে জানিয়েছে। তাই বিরোধী দলে তাদের যাওয়ার আলোচনা আপাতত আসছেই না।

সাবেক আরেক আইনমন্ত্রী ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু বলেছেন, সংসদে বিরোধী দলের মোট আসনের ১০ শতাংশ থাকতে হবে। আর সংখ্যাগরিষ্ঠ দল সরকার গঠন করবে। সরকারের বাইরে যেসব দল বা স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা থাকবেন, তারা সবাই বিরোধী দলের সদস্য হিসেবে থাকেন। সেক্ষেত্রে সরকারের বাইরে থাকা দল বা সংসদ সদস্যরা মিলেই ঠিক করবে প্রধান বিরোধীদল ও বিরোধীদলীয় নেতা।

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেছেন, আওয়ামী লীগ এককভাবে সরকার গঠন করার মতো আসনে জয়লাভ করেছে। এখন তারা চাইলে তাদের জোটের সদস্যদেরও সরকারে রাখতে পারে। তিনি বলেন, এরপর যেসব এমপি বা দল থাকবে, তারা বিরোধী দল হিসেবে সংসদে থাকবে। প্রধান বিরোধীদল হতে, কত আসনে জয়ী হতে হবে- এ ধরনের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। যারা দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ তারাই প্রধান বিরোধী দল হবে।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে, মোট ৩০০ আসনের মধ্যে একটি আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত, আরেকটির ফলাফল ঘোষণা হয়নি। বাকি ২৯৮ আসনের চূড়ান্ত ফলাফলে আওয়ামী লীগ এককভাবে পেয়েছে ২৫৯ আসন। আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়া জাতীয় পার্টি পেয়েছে ২২টি আসন। আর বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পেয়েছে ৭টি আসন। এর মধ্যে বিএনপি ৫টি এবং গণফোরাম ১টি ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া ১টি আসনে জয়লাভ করেছে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়া বিকল্পধারা জাসদ ২টি ও ওয়ার্কার্স পার্টি ৩টি এবং তরীকত ফেডারেশন ও জেপি পেয়েছে একটি করে আসন। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী একজন জয়ী হয়েছেন।

মা আ/এফসি