রাষ্ট্রের সকল অর্জনের কৃতিত্ব কোন একক ব্যক্তি বা একক দলের নয় দাবি করে বাংলাদেশ ন্যাপ বলেছে, বৃহৎ রাজনৈতিক দলের সুবিধাভোগী তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য ক্ষমতাসীনদের সকল কৃতিত্ব দেয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়। 

মঙ্গলবার নয়াপল্টনে যাদু মিয়া মিলনায়তনে ‘মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ৪৭তম স্বদেশ প্রত্যার্বতন দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ) আয়োজিত শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন দলটির মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। 

বার বার ইতিহাস বিকৃতি হচ্ছে বলে মন্তব্য করে গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, মুক্তযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান মজলুম জননেতা ভাসানীকে বাদ দিয়ে দেশের ইতিহাস নির্মিত হবে না। মওলানা ভাসানী শুধু স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা নন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক গুরুও বটে। তিনি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পর ৯ মার্চ তার বক্তব্যকে সমর্থন করেছিলেন মওলানা ভাসানী। ৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়কে সুনিশ্চিত করতে ভোট বর্জন করেছিলেন তিনি।

ন্যাপ মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীকে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীকে রাষ্ট্রীয় র্মযাদা প্রদানের আহ্বান জানান। 

ন্যাপ ঢাকা মহানগর সভাপতি মো. শহীদুননবী ডাবলুর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, লেবার পার্টির মহাসচিব আবদুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব জাফর আহমেদ জয়, ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ফারুক  হোসেন, স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল ভুইয়া, নগর সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ  নজরুল ইসলাম প্রমুখ। পরে নেতারা ভাসানীর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

টিএস/আরআই