জিয়াউর রহমান ও হোসেইন মুহাম্মদ এরশাদের দলের সঙ্গে গণতন্ত্রের সম্পৃক্ততার অভাব রয়েছে, এমন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, জিয়াউর রহমান ও এরশাদ উভয়েই তাদের অবৈধ ক্ষমতা দখলকে বৈধতা দেয়ার জন্য বিএনপি ও জাতীয় পার্টি গঠন করেন।

শুক্রবার (২২ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে সজীব ওয়াজেদ জয় এসব কথা জানান।

সজীব ওয়াজেদ জয় আরও বলেন, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির জন্মই হয়েছে রাতারাতি সরকারি দল হিসেবে। সংবিধান ও সেনা বাহিনীর নিয়ম ভঙ্গ করে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ভূ-লুণ্ঠিত করে যারা অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিল, তাদের পিঠ বাঁচানোর ঢাল হিসেবে গঠন করা হয়েছিল দল দুটি। একারণে এই দুই দলের কোনো শক্ত জনভিত্তি নেই। ফলে দেশের গণতন্ত্রের বিকাশে বিরোধী দল হিসেবে এদের ভূমিকা শূন্য।   

তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এটি আসলে রাজনৈতিক দলের মুখোশ। এই মুখোশ পড়ে দুর্বৃত্তরা দেশের সম্পদ লুট ও অর্থ পাচার করে বিদেশে। দেশের ভেতরে তারা উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিস্তার ঘটায়। এই দল প্রতিষ্ঠার সঙ্গে যেমন জনসম্পৃক্ততার সম্পর্ক শূন্য, তেমনি এই দলের নেতাদের সঙ্গেও কর্মীদের সম্পর্ক হয় অর্থ লেনদেনের বিনিময়ে। 

তারেক রহমানকে চাহিদা মতো টাকা না দিলে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পান না নিজ দলের নেতাকর্মীরাও, এমন দাবি করে জয় বলেন, তাই সরকারে থাকলে সাধারণ মানুষের ওপর লুটপাট ও নির্যাতন এবং বিরোধী দলে থাকলে বিদেশিদের কাছে নালিশ ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে দলটি।

ফেসবুক পেজে এ পোস্টের পাশাপাশি ২ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা। ভিডিওতে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি দল দু'টির শাসন আমলের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি তুলে ধরা হয়। 

জাগরণ/রাজনীতি/কেএপি