মিরপুরের স্লো পিচে ব্যাটিং করা খুব বেশি কঠিন না হলেও বোলারদের জন্যেও রয়েছে সুবিধা। বল টার্ন করছে, উইকেটে বাউন্সও আছে। শহীদ জুয়েল আর মোস্তাক স্ট্যান্ডে আছেন কয়েক হাজার দর্শকও। অনেক কিছুই ছিল বাংলাদেশের পক্ষে, কিন্তু ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালের প্রথম ইনিংসটা বাদে।
আরও একবার ব্যাট হাতে জাতীয় দলের মতোই বড় পরীক্ষা দিতে হবে উঠতি টাইগারদের। এশিয়া কাপের মঞ্চের শিরোপা লড়াইটা যে বরাবরই অপয়া বাংলাদেশের জন্য। যদিও এখনই তেমন কিছুর শঙ্কা করা গেলেও, সম্ভাবনার দুয়ারটা বন্ধ নয়। কেননা অভিজ্ঞ সৌম্য সরকারের সঙ্গে জাতীয় দলে খেলা আফিফ হোসেন, নাজমুল হোসেন শান্তর মতো ক্রিকেটাররাও এই দলে আছেন। যাদের ওপর ভর করে পুরো আসরজুড়েই অপরাজিত আছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল।
প্রতিপক্ষ পাকিস্তানও যদিও হারেনি আসরের কোনো ম্যাচ। শক্ত প্রতিদ্বন্দীতার আভাস তাই মিলেছিল আগেই। প্রথম ইনিংস শেষে অন্তত তা বজায় আছে। তার কৃতিত্ব অবশ্য কিছুটা বাংলাদেশের ফিল্ডারদেরও। এক ম্যাচেই ইয়াসির আলি রাব্বি ক্যাচ মিস করেছেন তিনটি।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সকাল ৯টায় শুরু হওয়া ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তার সিদ্ধান্তের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেছে প্রথম ইনিংস শেষেই। কেননা আগে ব্যাট করে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৩০১ রান।
শুরুটা অবশ্য ছিল বাংলাদেশরই। পুরো আসরজুড়েই উইকেট শিকারি হিসেবে পরিচিতি পেয়ে যাওয়া সুমন খান এদিনও শুরুতেই তুলে নিয়েছিলেন দুই পাকিস্তানি ওপেনারকে। স্কোরকার্ডে তখন তাদের রান ৪১ রান।
এরপর সুযোগ এসেছিল আরও একটি উইকেট পাওয়ার। কিন্তু স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডার মিস করেন রুহাইল নাজিরের ক্যাচ। ইনিংসের ৪৫তম ওভারে এসে হাসান মাহমুদের বলে যখন এলবিডব্লিউয়ের শিকার হন এই ব্যাটসম্যান তখন তার নামের পাশে ১২ চার ও ৩ ছক্কায় ১১১ বলে ১১৩ রান। তার অপরপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থেকে ফিফটি তুলে নেন ইমরান রফিকও। ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৮৮ বলে ৬২ রান করে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে মেহেদী হাসানের বলে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
শেষদিকে পাকিস্তানের অধিনায়ক সাউদ শাকিলের ৪০ বলে ৪২ ও খুশদিল শাহের ১৬ বলে ২৭ রানে বড় সংগ্রহ গড়ে ফেলে পাকিস্তান। বাংলাদেশের পক্ষে ১০ ওভার বল করে ৭৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট পান সুমন খান। এছাড়া হাসান মাহমুদ ২ ও মেহেদি হাসান পান এক উইকেট।
এমএইচবি/আরআইএস