• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৩, ২০২১, ০৩:২১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৩, ২০২১, ০৩:২১ পিএম

রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৫০৩ শতাংশ

রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৫০৩ শতাংশ

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ থামাতে ৫ এপ্রিল থেকে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। তবে তৈরি পোশাকসহ সব শিল্পকারখানার উৎপাদন অব্যাহত রাখা হয়। কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ থাকা স্বত্বেও চলতি অর্থ বছরে রপ্তানি বিবেচনায় প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৫০২ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে প্রতি মাসে রপ্তানির হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

রোববার (২ মে) ইপিবির প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ৩ হাজার ২০৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। দুই হাজার ৯৪৯ কোটি ৩৮ লাখ ৪০ হাজার ডলার রপ্তানি হয়েছিল ২০১৯-২০ অর্থ বছরে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানি বেড়েছে ৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে প্রথম লকডাউনে গত অর্থ বছরের এপ্রিলে পণ্য রপ্তানি প্রায় বন্ধ ছিল। গত অর্থ বছরের এপ্রিলে ৩০৮ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ থামাতে ৫ এপ্রিল থেকে কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়া হয়। পোশাকসহ সব শিল্পকারখানার বিধিনিষেধের আওতার বাইরে রাখা হয়। চলতি বছরের এপ্রিলে ৩১৩ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়। যা গত বছরের এপ্রিলের চেয়ে ৫০২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেশি। ২০১৯-২০ অর্থ বছরের এপ্রিলের চেয়ে চলতি বছরের এপ্রিলে রপ্তানি বেড়েছে এক দশমিক ৬২ শতাংশ।

চলতি অর্থ বছরের প্রথম দশ মাসে ২ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি। আলোচ্য সময়ে নিট পোশাকের রপ্তানি ১৫ শতাংশ বাড়লেও ওভেন পোশাকের রপ্তানি কমেছে ২ দশমিক ৭১ শতাংশ।

প্রথম ১০ মাসে ১০৩ কোটি ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩০ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেশি। এছাড়া ৯৫ কোটি ডলারের হোম টেক্সটাইল রফতানি হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ৫৪ শতাংশের বেশি।

প্রথম ১০ মাসে ৭৬ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়া পণ্য, ৪৩ কোটি ডলারের প্রকৌশল পণ্য, ৩৯ কোটি ডলারের হিমায়িত খাদ্য রফতানি হয়েছে। এর মধ্যে চামড়া ও চামড়া পণ্যে সাড়ে আট শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

চলতি বছরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে আরও ৮৯৩ কোটি ডলার প্রয়োজন। মে ও জুন মাসে তা অসম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।