• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২, ২০১৯, ০৭:৫৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৩, ২০১৯, ০১:৫৪ এএম

দৃষ্টিনন্দন হচ্ছে রাজধানীর ওসমানী উদ্যান

দৃষ্টিনন্দন হচ্ছে রাজধানীর ওসমানী উদ্যান


ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)’র অর্থয়ানে ৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজধানীর ওসমানী উদ্যানকে দৃষ্টিনন্দন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে ‘জল সবুজের ঢাকা’ প্রকল্পের আওতায় ২৯ একর জায়গার ওপর অত্যাধুনিক এ প্রকল্পের কাজ ধীরগতিতে চলছে। এই কাজের অগ্রগতি এখন পর্যন্ত মাত্র ২৭ শতাংশ।

বেধে দেওয়া সময়ে কাজ শেষ হওয়ার আগেই ফের ৬২ কোটি টাকা বরাদ্দের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করেছে ডিএসসিসি। এই প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন,ওসমানি উদ্যানকে আধুনিকায়ন ও দৃষ্টিনন্দন করতে নতুন নতুন কাজের জন্য অতিরিক্ত টাকার প্রয়োজন। একারণে অর্থ মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

ডিএসসিসি’র সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে জানা গেছে,ওসমানী উদ্যানের ‘জল সবুজের ঢাকা’ প্রকল্পের কাজটি দুটি প্যাকেজে করা হচ্ছে। প্রথম প্যাকেজ ২৭ কোটি ৩৭ লাখ। দ্বিতীয় প্যাকেজে ২৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। দু’টি প্যাকেজের কাজ করছে, দ্যা বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার এ্যাসোসিয়েশন লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। আর এ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক ডিএসসিসি’র সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আস্তাভাজন বলে অভিযোগ রয়েছে। এজন্য প্রতিষ্ঠানটির কাজের ধীরগতি থাকার পরেও কোনো জবাবদিহিতা নেই। ফলে উদ্যানের বরাদ্দ হওয়া ৫৭ কোটি টাকা ব্যয় হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এমনকি এ কাজের ব্যাপারে কোনো কথাও বলতে পারছেন না ডিএসসিসি’র প্রকৌশলী বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, ৫৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এ উদ্যানে, যে সব কাজ করা হবে।সে সব কাজের মধ্যে রয়েছে, জলাধার, মিউজিক সিস্টেম, বসার জন্য পৃথক পৃথক জোন, বাচ্চাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা,পুরনো দিনের গান শোনার ব্যবস্থা। এছাড়া বড় স্ক্রিনে টিভি দেখার সুবিধাও থাকবে। পুরো পার্কটির চারদিক থাকবে উন্মুক্ত। কাজ করার সময় শেষ হলেও এসবের কোনোটি বাস্তবায়ন হয়নি। শুধু টিনের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে রাখা হয়েছে উদ্যানটি। 

এ বিষয়ে ডিএসসিসির অতিরিক্ত প্রকৌশলীও প্রকল্প পরিচালক আসাদুজ্জামান বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ চলতি বছরের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা ছিলো। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সময়মতো কাজ শেষ না হওয়ায় ফের প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। পুরো প্রকল্পের জন্য আরো দেড়শ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। শুধু ওসমানি উদ্যানের জন্য ৬২ কোটি টাকা মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ‘জল সবুজে ঢাকা’ প্রকল্পের মেয়াদ ও অর্থ বাড়ানোর বিষয় অনুমোদনও দিয়েছে। এখন অর্থ মন্ত্রণালয় ছাড় দিলেই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোসহ সব কাজ শুরু হবে।

ডিএসসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) তানভির আহমেদ বলেন, জল সবুজে ঢাকা প্রকল্পের নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। তবে ইতোমধ্যে প্রকল্পটির কাজ দৃশ্যমান হয়েছে। এছাড়া উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সাথে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ‘জল সবুজে ঢাকা’ প্রকল্পটি হাতে নিয়েছিল। উত্তরের চেয়ে দক্ষিণের প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি বেশি বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে ডিএসসিসি’র মেয়র সাঈদ খোকন ওসমানী উদ্যানের কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। রাজধানীবাসীর বিনোদনের জন্য অত্যাধুনিক হচ্ছে ওসমানী উদ্যান। ডিএসসিসি ‘জল সবুজের ঢাকা’ প্রকল্পের আওতায় ২৯ একর জায়গার ওপর অত্যাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করতে ওসমানী উদ্যানকে সাজানোর কথা। শহরের মানুষদের একঘেয়েমি ও অবসাদ নিরসনে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ একটি পার্ক তৈরি করা হচ্ছে। যার নাম দেয়া হয়েছে 'গোস্বা নিবারণী পার্ক' 

টিএইচ/ডিজি