• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৮, ২০১৯, ০৮:০০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৮, ২০১৯, ০৮:০০ পিএম

কালবৈশাখী ঝড়ে আহতদের দেখতে হাসপাতালে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

কালবৈশাখী ঝড়ে আহতদের দেখতে হাসপাতালে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
আহতদের খোঁজ নিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পঙ্গু হাসপাতালে গিয়েছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ -ছবি : জাগরণ

বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ চত্বরে শুক্রবার (১৭ মে) কালবৈশাখী ঝড়ে প্যান্ডেল ভেঙে পড়ে নামাজরত অবস্থায় আহতদের খোঁজ নিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পঙ্গু হাসপাতালে গিয়েছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।

শনিবার (১৮ মে) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আহতদের সুচিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন গুরুতর আহত বরিশালের আফজাল হোসেনকে আইসিইউতে কিৎসার ব্যবস্থা করেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী প্রায় ২ ঘন্টা ঢাকা মেডিকেলে অবস্থান করেন। নগর পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) এএসআই শরিফুল ইসলাম (৩৬) কে পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তরের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী এ সময় অন্যান্য রোগীদেরও খোঁজ-খবর নেন। পরে নগর পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) এএসআই শরিফুল ইসলাম (৩৬) কে দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে ছুটে যান এবং তার চিকিৎসার খোজঁ-খবর নেন।

প্রতিমন্ত্রী পঙ্গু হাসপাতালে দেড় ঘন্টা অবস্থান করেন। পরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ চত্বরে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত অস্থায়ী প্যান্ডেল এলাকা পরিদর্শন করেন প্রতিমন্ত্রী।

এর আগে শুক্রবার (১৭ মে) দুর্ঘটনার পরপরই রাতে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান ধর্মসচিব আনিছুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব কাজী নূরুল ইসলাম। এ সময় তারা আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন এবং সুচিকিৎসা নিশ্চিত করেন।

শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীতে কালবৈশাখী ঝড়ে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ চত্বরে মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের সুবিধার্থে অস্থায়ীভাবে নির্মিত প্যান্ডেল ভেঙে পড়ে। এ সময় নামাজরত অবস্থায় শফিকুল ইসলাম (৩৬) নামে এক মুসল্লির মৃত্যু হয়। তার গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাট জেলার আদিতমারিতে। তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নিহতের পরিবারকে নগদ ২৫ হাজার টাকা দেয়া হয়।

এ ঘটনায় আহত হন মোট ২২ জন। এর মধ্যে রফিউজ্জামান (২৪), মনিরুল ইসলাম (৩০), আবদুল কুদ্দুস (৩৪), জানে আলম (২২), সাদিকুর রহমান (২৭), তারেক রহমান (৩৫), মাসুদ (২৬), জহিরুল ইসলাম (২৮), সজীব (২৫), আউয়াল (২৮) ও আমিন উল্লাহ (২৬) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে যান।

ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন আফজাল হোসেন (৬৮), বিপ্লব (২৪) ও হৃদয় (১৮)।আহতদের চিকিৎসা খরচ বহন করা হবে।

দুর্ঘটনায় হতাহতের তদন্তে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব কাজী নূরুল ইসলামকে আহ্বায়ক এবং মসজিদ ও মার্কেট বিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ মহীউদ্দিন মজুমদারকে সদস্য সচিব করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির অন্যান্য সদস্যগণ হলেন- বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক ডা. এবিএম জাহাঙ্গীর আলম, দ্বীনী দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক আনিছুর রহমান সরকার, মসজিদ ও মার্কেট বিভাগের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফজলুল করিম।

কমিটি আগামী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে অর্থাৎ আগামী মঙ্গলবার রিপোর্ট উপস্থাপন করবে।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মুকাররম কার্যালয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহের সভাপতিত্বে বোর্ড অব গভর্নরস-এর মসজিদ ও মার্কেটের সাব কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় নিহতের শোকসন্তুপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন ও রূহের মাগফেরাত কামনা করা হয়। সভায় অন্যান্যের মধ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বোর্ড অব গভর্নরস এর গভর্নর মিছবাহুর রহমান চৌধুরী, গভর্নর সিরাজ উদ্দিন আহমেদ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব কাজী নূরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

টিএস/এসএমএম