• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০১৯, ০৭:১৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৫, ২০১৯, ০৭:১৪ পিএম

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার বিরুদ্ধে ডিএনসিসি মেয়রের প্রচারাভিযান

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার বিরুদ্ধে ডিএনসিসি মেয়রের প্রচারাভিযান
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম মগবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া সম্পর্কে বক্তব্য দেন - ছবি : জাগরণ

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে আজ মঙ্গলবার (২৫ জুন) ৩৫ নং ওয়ার্ডে এক প্রচারাভিযানে অংশ নেন। প্রচারাভিযানটি দুপুরে মগবাজার মোড় থেকে শুরু হয়ে নয়াটোলায় গিয়ে শেষ হয়। 

প্রচারাভিযানের শুরুতে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে নগরবাসীদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, আমরা যে যেখানেই থাকি না কেন ঘরের ভেতরে বা বাইরে কোথাও ৩ দিনের বেশি পানি যেন জমতে না দিই। কারণ ৩ দিনের জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া রোগের বাহক এডিস মশা বংশবিস্তার করে। বিশেষ করে ফুলের টব, পরিত্যক্ত টায়ার, ফ্রিজ-এসি থেকে নির্গত পানি, ফেলে দেয়া পাত্র, ডাবের খোসা ইত্যাদিতে পানি যেন জমে না থাকে।

ব্রিফিং শেষে মগবাজার চৌরাস্তা জামে মসজিদে ৩৫ নং ওয়ার্ডের সকল ইমামকে নিয়ে আতিকুল ইসলাম এক বৈঠক করেন। বৈঠকে ইমামদেরকে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের কারণ, প্রতিকার ও প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে অবহিত করেন। জুমা নামাজের খোতবার পূর্বে এবং অন্যান্য নামাজের পূর্বে উপস্থিত মুসুল্লিদের ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ সম্পর্কে সচেতনতামূলক উপদেশ দেয়ার জন্য তিনি ইমামদের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, ইমামদের উপদেশ আমরা গুরুত্ব সহকারে মেনে চলি, তাই জনগণকে সচেতন করার জন্য তাদের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এসময় ইমামদেরকে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ সংক্রান্ত তথ্যসম্বলিত লিফলেট ও স্টিকার বিতরণ করা হয়।

পরে বড় মগবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে মেয়র শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া সম্পর্কে বক্তব্য দেন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমরা এখানে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া সম্পর্কে যা জানলে, বাসায় গিয়ে তা বাবা-মাকে জানাবে। সচেতনতা ছাড়া ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া থেকে মুক্তি পাওয়া অসম্ভব। শিক্ষার্থীদের মাঝে তিনি এসময় ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া তথ্য সম্বলিত প্রচারপত্র বিলি করেন। এরপর মেয়র মগবাজার থেকে নয়াটোলা পর্যন্ত হেঁটে হেঁটে পথচারীদেরকে প্রচারপত্র বিলি করেন এবং তাদেরকে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া রোগ সম্পর্কে সতর্ক করে দেন।

উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাম্প্রতিক জরিপে (প্রি-মনসুন) ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকার মধ্যে ৩৫ নং ওয়ার্ডে (মগবাজার এলাকা) ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার বাহক এডিস মশার লার্ভা সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। প্রচারাভিযানকালে অন্যান্যের মধ্যে লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ, ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন উপস্থিত ছিলেন। 

টিএইচ/ এফসি