• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯, ০১:২৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯, ০১:২৪ পিএম

ডিএসসিসি’র অব্যবস্থাপনায় আয় বঞ্চিত পরিবহন বিভাগ 

ডিএসসিসি’র অব্যবস্থাপনায় আয় বঞ্চিত পরিবহন বিভাগ 

সায়দাবাদ, ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনালে বাসের সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)’র পরিবহন বিভাগের আয়। অব্যবস্থাপনার মধ্যে দিয়েই চলছে পরিবহন বিভাগ। সঠিকভাবে দেখভালের অভাবেই বিপুল পরিমাণ অর্থ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ডিএসসিসি। 

জানা গেছে, গত ৫ বছর আগে সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার বাস রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে চলাচলরত। প্রতিটি বাসের বিপরীতে বাস মালিককে টোল হিসেবে প্রতিদিন একটি বাসের জন্য সিটি করপোরেশনের তহবিলে দিতে হয় ৪০ টাকা। ৩ হাজার বাসের হিসেব ধরে জমা হচ্ছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। সেখানে বর্তমানে সংস্থার ফান্ডে জমা হচ্ছে মাত্র ৬৯ হাজার টাকা। বাকি টাকা খোদ পরিবহন ম্যানেজার মো. মোরশেদ পকেটস্থ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আর ফুলবাড়িয়া বাসটার্মিনালে প্রতিদিন গড়ে বাস চলচল করে প্রায় ২ হাজার। প্রতিটি বাসের টার্মিনালের টোল হিসেবে ৪০ টাকা হারে প্রতিদিন ৮০ হাজার টাকা সংস্থার খাতে জমা হওয়ার কথা। কিন্ত তা না করে নিজের পকেটে রাখা হচ্ছে।   

সূত্র জানায়, ইতিপূর্বের ইজারাদার প্রতিষ্ঠান পানামা ট্রেডার্স সিটি করপোরেশনের কাছে সায়দাবাদ বাসটার্মিনাল আন্দোলন সংগ্রামের কারণে  বাস চলাচল করতে পারেনি। একারণে ইজাদার প্রতিষ্ঠানের ৩ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। এই টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করার পর সায়দাবাদ টার্মিনাল ইজারারা দেয়া বন্ধ রয়েছে।

এ কারণে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় টোল আদায় করা হচ্ছে। এই সুযোগে ম্যানেজারের পকেট ভারি করা হচ্ছে। একই অবস্থা বিরাজ করছে ফুলবাড়িয়া টার্মিনালের ক্ষেত্রেও। এছাড়া গুলিস্থান টার্মিনালকে টোল আদায় না করার জন্য হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকার পরেও আবদুল মতিন মৃর্ধা, গুলিস্তান, জয় কালিমন্দির এলাকায় টোল আদায় অব্যাহত রেখেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পরিবহন বিভাগের কয়েকজন কর্মচারী দৈনিক জাগরণকে বলেন, মোরশেদ স্যার খুব চালাক মানুষ। মামলার বাদিকে সহযোগিতা করেছে। আর তার নিজের স্বার্থ হাছিল করছেন। ফলে ডিএসসিসি প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত থাকছে।

উল্লেখ্য বর্তমানে, ডিএসসিসিতে বিভিন্ন ধরনের ৫৮৬টি গাড়ি চলাচল করছে। বিশেষ করে, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের লরী, ট্রাক, অফিসারদের বিভিন্ন ধরনের তেল গ্যাস ক্রয় বাবদ প্রতিমাসে আড়াইকোটি টাকা ব্যয় দেখানো হচ্ছে। নিয়ম মাফিক যারা গাড়ি ব্যবহারার করার সুযোগ পায় না তাদেরকেও গাড়ি ব্যবহার করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। 
 
এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ম্যানেজার (পরিবহন) মো. মোরশেদ বলেন, সায়দাবাদ টার্মিনালের টোল আদায়ের বিষয়ে মামলা চলমান থাকায় টোল আদায়ে ইজারাদার নিয়োগ দেয়া হয়নি। এ কারণে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। পরিবহনের সঠিক পরিসংখ্যানের বিষয়ে তিনি বলেন, আমার কাছে যে পরিসংখ্যান তাতে সাড়ে ৩০০ গাড়ি রয়েছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে যান্ত্রিক সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনিছুর রহমান পবন দৈনিক জাগরণকে বলেন, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী, সচিবসহ বিভিন্ন ধরনের ৫৮৬টি গাড়ি চলাচল করছে। তিনি বলেন, এসব তথ্য অল্প দিনের মধ্যেই ওয়েবসাইডে দেয়া হবে।

টিএইচ/টিএফ


 

আরও পড়ুন