• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০১৯, ০৯:২৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১১, ২০১৯, ০৯:৩৮ পিএম

ডিএনসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আনিচুল হক সাময়িক বরখাস্ত 

ডিএনসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আনিচুল হক সাময়িক বরখাস্ত 
আনিচুল হক।

ক্ষমতার অপব্যবহার, অসদাচরণ, মেয়রের সাথে বেয়াদরিসহ বেশ কিছু সুনিদিষ্ট অভিযোগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ( ডিএনসিসি) সহকারি প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা (এ সিডব্লিউএমও) আনিচুল হককে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার (১১ নভেম্বর ) ডিএনসিসির সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়ার স্বাক্ষরে এই বরখাস্তের আদেশ জারি করা হয়েছে। গত ৩০ অক্টোবর ডিএনসিসি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আনিচুল হকের অঢেল সম্পদ র্শীষক একটি প্রতিবেদন দৈনিক জাগরণ পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার প্রেক্ষিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে তার বিরুদ্ধে ডিএনসিসির মেয়রের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ ছিল। 

আর ওই অভিযোগের অনুলিপি এরই মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা,সচিব এবং প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তার দফতর বরাবর পাঠানো হয়েছে। ডিএনসিসির অঞ্চল-৩ এর সহকারি প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন আনিচুল হক। এই কর্মকর্তা তার চাকরি জীবনের ২৯-৩০ বছরের মধ্যে ২৩ বছরই অঞ্চল-৩ এ কর্মরত রয়েছেন। 

তিনি ডিএনসিসিতে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালী সিন্ডিকেট। ওই সিন্ডিকেটের বাইরে কেউ কোনও কাজ করার সাহস পায়নি। রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বাধীনতা সরণি এলাকার শ্যামল চন্দ্র সাহা নামে এক ব্যক্তি লিখিত ভাবে ডিএনসিসির সহকারি প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আনিচুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। 

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সহকারি প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আনিচুল হক সরকারি চাকরির নীতিমালা বর্হিভূত বিভিন্ন প্রকার অবৈধ কার্যক্রমের সাথে জড়িত হয়ে ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন। একই সাথে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।
 
অঞ্চল-৩ এর ভ্যান সার্ভিস এবং বেসরকারি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে নিজের মালিকানা রয়েছে। ড্রেন ক্লিনার দাদনকে দিয়ে ‘রাকিব এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি কোম্পানির ব্যানারে ডিএনসিসির বেসরকারি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ইজারাদার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। 

প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন আনিচুল হক ও ড্রেন ক্লিনার দাদন। গত ৪ বছর রাকিব এন্টারপ্রাইজের নামে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তারা। বাড্ডায় স্বাধীনতা সরণিতে আনিচুল হকের একটি ভবন রয়েছে। আনিচুল হকের ব্যবসায়িক পার্টনার ড্রেন ক্লিনার দাদনেরও একাধিক ফ্ল্যাট, গাড়ি ও গ্রামের বাড়িতে অঢেল সম্পদ রয়েছে। সরেজমিন তদন্ত করা হলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে নিঃসন্দেহে।  

আদেশের কপি।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, আনিচুল হক প্রভাব খাঁটিয়ে ডিএনসিসি থেকে তার ছেলের নামে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ২০০ এবং গুলশান আবাসিক এলাকায় ১০০ রিকশার লাইসেন্স করিয়ে নিয়েছেন। ডিএনসিসির রাজস্ব বিভাগে হুইল ট্যাক্স শাখায় সংরক্ষিত রেকর্ডপত্র যাচাই করলে অনেক অজানা তথ্য বেরিয়ে আসবে। 

টিএইচ/এমএইচবি