• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২, ২০২০, ০৫:৪৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২, ২০২০, ০৫:৪৫ পিএম

কোভিড-১৯

রাজধানীতে হ্রাস পেয়েছে অপরাধ প্রবণতা

রাজধানীতে হ্রাস পেয়েছে অপরাধ প্রবণতা
ফাঁকা সড়ক ● ইউএনবি

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব রোধে সরকারের সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর অফিস, শপিংমল, দোকান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বেশিরভাগ নগরবাসী বাসায় অবস্থান করায় রাজধানীতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে।

সরকার জনসমাগম ও গণপরিবহন চলাচল সীমিত করার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েনের সাথে ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে। পরে ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে ১১ এপ্রিল করা হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, হত্যা, ধর্ষণ, ডাকাতি, চুরি ও অন্যান্য ছোট অপরাধের মতো ঘটনাগুলো স্বাধীনতার পর থেকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে এসছে।

ডিএমপির ডেপুটি কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, রাজধানীতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে। ‘আমি মনে করি স্বাধীনতার পর অপরাধের পরিমাণ এটাই সবচেয়ে কম।’

সরকারের নির্দেশনা অনুসরণ করে বেশিরভাগ নগরবাসী তাদের বাসা-বাড়ির অভ্যন্তরে অবস্থান করছেন। তাই রাস্তায় কোনও ভুক্তভোগী নেই বলেও তিনি জানান।

তিনি বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সশস্ত্র বাহিনী উভয় সদস্যরা সড়কে রয়েছেন। এছাড়া কোনও অপরাধী অপরাধ করার পরে যদি পালানোর চেষ্টা করে তবে রাস্তাগুলো খালি থাকার কারণে পুলিশ ততক্ষণে ঘটনাস্থলে ছুটে আসতে পারলে তারা শিগগরই ধরা পড়বে, তিনি যোগ করেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২৬ মার্চ থেকে নগরবাসী ২৪ ঘণ্টা তাদের বাড়িতে থাকায় চুরি এবং ডাকাতির মতো ঘটনাগুলো প্রায় শূন্যে নেমে এসেছে।

পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার নাবিদ কামাল শৈবালও রাস্তায় মানুষের অনুপস্থিতিতে অপরাধের সংখ্যা অনেক কমেছে বলে স্বীকার করেন।

‘রাস্তায় কোনও ভুক্তভোগী নেই এবং কোনও অপরাধী নেই। এছাড়াও, সরকারি এবং ব্যক্তিগত যানবাহন কম থাকায় পুলিশ কয়েক মিনিটের মধ্যে যে কোনও জায়গায় ছুটে যেতে পারে। তাই অপরাধীরা অপরাধ করার ক্ষেত্রে দ্বিতীয়বার চিন্তা-ভাবনা করছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী পুলিশি তৎপরতা বৃদ্ধি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড হ্রাসের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন।

তিনি বলেন, যেহেতু মানুষের চলাচল সীমিত রয়েছে এবং চেকপোস্টের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই অপরাধীরা অপরাধ করার আগে দু’বার চিন্তা-ভাবনা করছে।

পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারের সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর গত সপ্তাহে তার এলাকায় অপরাধের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে।

সাধারণত, প্রতি মাসে থানায় ৬০-৭০টি মামলা রেকর্ড করা হয়। মার্চ মাসে রেকর্ড হওয়া মামলার সংখ্যা ছিল ৫০টি। এর মধ্যে গত ১০ দিনে মাত্র দু’টি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে বলে ওসি জানান।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় বেশিরভাগ লোক নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করায় ২৬ মার্চ থেকে পল্লবী থানায় ধর্ষণ, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি ও অন্যান্য ছোট ছোট অপরাধের কোনও ঘটনা রেকর্ড করা হয়নি বলে পুলিশ কর্মকর্তা জানান। ইউএনবি।

এসএমএম