• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯, ০৪:৩৭ পিএম

বুড়িগঙ্গা তীর দখলমুক্ত করার খরচ বহন করবে ভুমিদস্যুরা 

বুড়িগঙ্গা তীর দখলমুক্ত করার খরচ বহন করবে ভুমিদস্যুরা 
ছবি : সংগৃহীত

 

বুড়িগঙ্গা তীর দখল মুক্ত করণের সকল খরচ দখলকারী ভুমি দস্যুদের বহন করতে হবে। এছাড়া আইন অনুযায়ী সরকারকে অন্যান্য ক্ষতিপুরণও তাদের দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিআইডাব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন। 

মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি)সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার সময় গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি একথা বলেছেন। 

জানা গেছে, এক কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের পর নানা গুঞ্জন ছড়ালেও বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বসিলা এলাকায় বুড়িগঙ্গা তীরে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। আগের দিন বাধার মুখে পড়লেও নদী তীরে আমিন-মোমেন হাউজিংটি উচ্ছেদ করে বিআইডাব্লিউটিএ। বুধবার উচ্ছেদ অভিযানে চতুর্থ পর্যায়ের তৃতীয় দিনে অবৈধ হাউজিংটি অবশিষ্টাংশ উচ্ছেদ করা হয়।

সকালে নদীর বসিলা অংশে গড়ে ওঠা আমিন-মোমেন হাউজিং এলাকায় পাকা-আধাপাকা ও কাঁচা স্থাপনা সহ ছোট-বড় বেশ কিছু স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। দুপুর একটা নাগাদ এ অংশের উচ্ছেদ সম্পন্ন হয়। সব মিলিয়ে দখলকৃত আমিন-মোমেন হাউজিংয়ের প্রায় ১২ একর জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ) এর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান।

এই কর্মকর্তা জানান, আমরা আমিন-মোমেন হাউজিংয়ের দখল করা ঘরবাড়ি উচ্ছেদ সম্পন্ন করেছি। দুপুরের মধ্যেই এখানে উচ্ছেদ শেষ হয়।অভিযান অব্যাহত থাকবে।  

মঙ্গলবার আমিন-মোমেন হাউজিং এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে বাধার মুখে পরে বিআইডাব্লিউটিএ। উচ্ছেদে বাধা দেয়ার অভিযোগে লাবু নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর বেলা পৌনে তিনটায় অভিযান চলাকালে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেয়া হয় অভিযান পরিচালনাকারী বিআইডাব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিনকে। ফলে বন্ধ হয়ে যায় উচ্ছেদ অভিযান।

২৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া উচ্ছেদ অভিযানের ১০ দিনে ছোট-বড় মিলিয়ে উচ্ছেদ করা হয়েছে ১ হাজার ৬২০টি স্থাপনা। অভিযান মাঝপথে বন্ধ হওয়ার কারণে উচ্ছেদের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছিলো। অবশ্য বুধবার পুরোদমে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। 

এইচএম/বিএস