• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২২, ২০১৯, ০৫:২৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২২, ২০১৯, ০৫:২৯ পিএম

রেলের অ্যাপস বিড়ম্বনায় টিকিট কালোবাজারির অভিযোগ

রেলের অ্যাপস বিড়ম্বনায় টিকিট কালোবাজারির অভিযোগ

মোবাইল অ্যাপস-এর মাধ্যমে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কেনায় উল্টো বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা।

বুধবার (২২ মে) থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হলেও কোনও ক্রেতাই সম্প্রতি চালু হওয়া মোবাইল অ্যাপস-এর মাধ্যমে কোনও টিকিটই কিনতে পারছেন না। ফলে অ্যাপস-এর ব্যর্থ হয়ে নিজেরাই এসে কমলাপুরে ভিড় করছেন টিকিট কেনার জন্য।

অবশ্য রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ক্রেতাদের এই দুর্ভোগের জন্য নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করে বলেছেন, আমরা পাঁচদিন দেখবো। এরপর মোবাইল অ্যাপস-এর অবিক্রিত সব টিকিট কাউন্টার থেকে বিক্রি করার উদ্যোগ নেয়া হবে। এদিকে মোবাইল অ্যাপস-এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিএনএস-এর দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। কমলাপুরে মন্ত্রীর উপস্থিতিতেই অনেক ক্রেতা অভিযোগ করেছেন, পাঠাও বা উবার যেখানে একসাথে কয়েক হাজার ইউজার হিট করছে কিন্তু সেখানে ‘রেলসেবা অ্যাপস’ কোনও কাজই করছে না। কেউই অ্যাপস এ ঢুকতেই পারছেন না। টিকিট বিক্রির ঘরে ‘নিল’ বা ‘বিক্রিত’ দেখানো হচ্ছে। টিকিট কালোবাজারির জন্য এটা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিএনএস-এর কোনও কারসাজি কিনা তারও তদন্তের দাবি জানান অনেকে।

রেলের টিকিট বিক্রিতে ডিজিটাল করার পদ্ধতি প্রয়োগের অংশ হিসেবেই রেলের এই মোবাইল অ্যাপস-এর উদ্বোধন করা হয় কয়েকদিন আগে। তখন জানানো হয়, ট্রেনের টিকিট কিনতে এখন আর দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে হবে না। মুহূর্তে ট্রেনের টিকিট পেতে চালু করা হলো ‘রেলসেবা মোবাইল অ্যাপস’।

সম্প্রতি কমলাপুর রেলস্টেশনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন এই অ্যাপস থেকে টিকিট কেটে সেবাটির উদ্বোধন করেন। অ্যাপসটি উদ্বোধন করে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছিলেন, আমি টিকিট কেটে এই অ্যাপসটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করলাম। এখন থেকে রেলের ৫০ শতাংশ টিকিট এই অ্যাপসের মাধ্যমেই কাটতে পারবেন। অ্যাপসে জাতীয় কল সেন্টারের (৩৩৩) সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের তথ্যসমূহ ইন্টিগ্রেইড করা হয়েছে। ফলে জাতীয় কল সেন্টার ৩৩৩ থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ে সম্পর্কিত যে কোনও তথ্য পাওয়া যাবে।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, বর্তমানে ৫০০ ব্যক্তি একই সময়ে এই অ্যাপস থেকে টিকিট কাটতে পারবেন। ঘণ্টায় ১৫ হাজার টিকিট বিক্রি করার সক্ষমতা রয়েছে এই অ্যাপসের। ভবিষ্যতে অ্যাপস থেকে টিকিট বিক্রির সক্ষমতা আরও বাড়ানো হবে। অ্যাপসটিতে সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট ক্রয় করা যাবে, নির্দিষ্ট গন্তব্যের ভাড়া জানা যাবে, টিকিট প্রাপ্যতা সম্পর্কে জানা যাবে, ট্রেন রুট, সময়সূচি, ট্রেনভিত্তিক বিরতি স্টেশনসমূহের নাম ও সময়সূচি, জার্নি হিস্ট্রি, কোচ ভিউ, সিট চয়েজ করা যাবে। এ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনের নম্বর, খাবারের মেন্যু ও মূল্য তালিকাও জানা যাবে। পরবর্তীতে এ অ্যাপসটি থেকে যে কোনও যাত্রী সহজেই তার নিজের অথবা পরিবারের জন্য খাবার কিনতে পারবেন। জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ‘রেলসেবা’ অ্যাপস নিবন্ধন করা যাবে। একই আইডি থেকে একবারে ৪টি আসনের জন্য টিকিট সংগ্রহ করা যাবে। আর দিনে ২ বার ৪টি করে ৮টি পর্যন্ত আসনের টিকিট কাটতে পারবেন যে কেউ।

অ্যাপসটি প্রাথমিক অবস্থায় শুধু অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে ব্যবহার করা যাবে। এদিকে ‘রেলসেবা অ্যাপস’ নিয়ে রেলওয়ের এতো প্রচারণার পরও টিকিট বিক্রির প্রথম দিনেই দেখা গেল নানা বিপত্তি। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকেই অভিযোগ আসছে, এই অ্যাপস দিয়ে টিকিট কেনা যাচ্ছে না। শুধু সময়ই অপচয় হচ্ছে। 

টিএইচ/এসএমএম