• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৯, ২০১৯, ০৯:৪৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২৯, ২০১৯, ০৯:৪৮ পিএম

ফায়ারিং স্কোয়াডে ধর্ষকদের বিচার চান শেখ সেলিম

ফায়ারিং স্কোয়াডে ধর্ষকদের বিচার চান শেখ সেলিম
ফাইল ফটো

ধর্ষণের অপরাধ স্বীকারকারীদের ফায়ারিং স্কোয়াডে বিচার চান আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তিনি বলেন, এই সব অপকর্মের হোতা হচ্ছে ফেসবুক। সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে জাতীয় সংসদের প্রবীণ সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ বিধির আওতায় একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সেই আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ সব কথা বলেন।  

প্রস্তাবে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদ ও শ্রীলঙ্কার গীর্জা, হোটেলে সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশে ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাতকে যৌন নিপীড়ন ও পুড়িয়ে মারার ঘটনায় গভীর ঘৃণা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে এবং এ সকল সন্ত্রাসী, যৌন নিপীড়নের ঘটনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল দেশের সংসদ, সরকার ও নাগরিকদের প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছে।’ 

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের সর্বোচ্চবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, পৃথিবীতে যে হানাহানি হচ্ছে, এই যে জঙ্গিবাদ, ধর্মের নামে যে সন্ত্রাস, সকল ধর্মকে আজ বিতর্কিত করে দিচ্ছে। তারা কী পাচ্ছে? মানবতা কোথায়? ধর্মের নামে ১০ লক্ষ রোহিঙ্গাকে আমাদের এখানে বিতাড়িত করেছে। এই রাষ্ট্র কী আমরা চেয়েছিলাম? এই পৃথিবী কী আমরা চেয়েছিলাম?

তিনি বলেন, কীসের ইসলামিক স্টেট? এটা কী কোরআন শরীফে আছে যে সারা পৃথিবীতে একটা স্টেট হবে? ধর্মের নামে এরা কথা বলে। যারা আহত হয় ইসরাইল তাদের সেবা-শুশুশ্রা করে। এই পৃথিবীতে এটা হতে পারে না। এখন সময় এসেছে এর বিরুদ্ধে গোটা পৃথিবীকে রুখে দাড়াতে হবে। যারা মানবতাবাদী নেতা, যারা মানবতায় বিশ্বাস করে, যারা মানবকল্যাণে বিশ্বাস করে সমস্ত শক্তিকে। আর কিছু কিছু রাষ্ট্র তো এদের ইন্ধন দিয়ে যায়।

সেলিম বলেন, এই জঙ্গিবাদ, এই সন্ত্রাস বাংলাদেশকে গ্রাস করে ফেলেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরে। শেখ হাসিনাকে ১৮ বার হত্যার চেষ্টা করা হলো। এই বাংলা ভাই, শায়েখ আবদুর রহমান এদের পৃষ্ঠপোষকতা করলো একটি রাজনৈতিক দল।

নুসরাতের হত্যাকাণ্ড নিয়ে তিনি বলেন, নুসরাতকে কীভাবে হত্যা করা হলো? এরা কী মানুষ? এরা পশুর চেয়ে নিকৃষ্ট। এটার জন্য কঠিন আইন মানে কী? ১০ দিন, ১৫ দিন বা ১ মাসের মধ্যে এদের ফায়ারিং স্কোয়াডে দিয়ে এদের গুলি করে হত্যা করা উচিত। এই ধরণের আইন করা উচিত। স্বীকার যখন করেছে তখন আর কোর্টে যাওয়ার কোনো দরকার নাই।

আওয়ামী লীগের এই সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, এই সব অপকর্মের হোতা হচ্ছে ফেসবুক। আজকে ডিজিটাল করতে গিয়ে যে কী ক্ষতি হয়েছে! জায়ান হত্যার পরেও এমন সব স্ট্যাটাস তারা দিয়েছে আমি এখানে বলতে চাই না। আমি আমার ডিজিটাল মন্ত্রণালয়কে বলি দেখেন কী সব আজে-বাজে কথা বলছে। এরা মানুষ না, এরা পশুর চেয়ে নিকৃষ্ট। এরা সব কিছু করতে পারে।

তিনি বলেন, এই সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ এই অমানবিক ব্যাপারে আমাদের বোধহয় আরেকটা নতুন কঠোর আইন করা উচিত। যে আইনে তদন্ত বেশিদিন চলবে না। এক মাসের ভেতর সব কিছুকে ফয়সালা করে তাদের বিচার করা হবে। শাস্তি দেয়া হবে। বাংলাদেশ আমরা শান্তির বাংলাদেশ চাই। বিশ্ব বিবেককে বলি, আগে অস্ত্র নিয়ে খেলেছ এখন জঙ্গী আর সন্ত্রাসী নিয়ে পৃথিবীতে খেলো না। মানুষ যাতে ধ্বংস হয়ে যাবে। ভবিষ্যতে মানব জাতি পৃথিবীতে আর মাথা উচু করে দাড়াতে পারবে না।

এ সময় সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন জায়ান চৌধুরীর বাবা যেন সুস্থ হয়ে ওঠে সে জন্য দোয়া কামনা করেন তিনি।

তিনি বলেন, আপনারা দোয়া করবেন আমার মেয়ে যেন এই ব্যথা কাটিয়ে উঠতে পারে। সে কথা বলতে পারে না। তাকে যেন আল্লাহ শক্তি দেন। আপনাদের দোয়া এবং আশীবার্দ নিয়ে যেন আমার মেয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে।

এইচএস/এসএইচএস