• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১, ২০১৯, ০৫:০৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১, ২০১৯, ০৫:০৬ পিএম

শার্শায় ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি, শিক্ষক বরখাস্ত

শার্শায় ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি, শিক্ষক বরখাস্ত

যশোরে শার্শায় শিক্ষক কর্তৃক পঞ্চম শ্রেণির মাদ্রাসাছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ওই ছাত্রীর বাবা এই অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য ডাক্তার নূরুল ইসলামকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শ্লীলতাহানির শিকার মেয়ের বাবা জিয়াউর রহমান জিয়া জানান, তার মেয়ে বাগআঁচড়া সাতমাইল আলিম মহিলা মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। গত রোববার  (২৮ এপ্রিল) তার মেয়েকে শিক্ষক শরিফুল ইসলাম কাছে নিয়ে অন্যান্য ছেলেমেয়েদের লিখতে দিয়ে তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। এর আগেও মেয়েটিকে ওই শিক্ষক কয়েকবার কু-প্রস্তাব দেন। মেয়েটি লোক-লজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু বলেনি। এরপর তার আচরণ এতটাই বেপরোয়া হয়ে যায় যে, বাধ্য হয়ে সে বিষয়টি বাড়িতে জানায়।

এ ব্যাপারে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি বিচারের আশ্বাস দিলেও এখনো কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

মাদ্রাসা পড়ুয়া ওই ছাত্রী জানায়, শরিফুল স্যার আমাকে মারার উদ্দেশ্যে কয়েকবার জামার পেছন দিয়ে গায়ে হাত দিয়েছে এবং কুরুচিপূর্ণ কথা বলেছে। বিষয়টি মাদ্রাসার ম্যাডাম শাহনাজ দেখে আমাকে ডাকলে, আমি সব ঘটনা তাকে খুলে বলি। ঘটনাটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষকেও জানায় ওই ম্যাডাম। আমাকে ওই স্যার অনেক বার জামার পেছন দিয়ে হাত দিয়েছে। আর উনি আমার সাথে যেভাবে কথা বলতো তাতে অনেকেই আমাকে ওই স্যারকে নিয়ে সন্দেহ করতো। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক শরিফুল ইসলাম বলেন, সামান্য একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি স্কুলে বসে মীমাংসার দায়িত্ব নিয়েছেন।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মহসিন হোসেন বলেন, পরিচালনা কমিটি এ ঘটনার দায়িত্ব নিয়েছে। কমিটি বসে বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তবে ঘটনাটির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় শিক্ষক শরিফুল ইসলামকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং বিষয়টি শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইলিয়াছ কবির বকুল বলেন, আমি প্রিন্সিপালের কাছে শুনেছি শরিফুল নামে এক শিক্ষক এক মেয়েকে উত্ত্যক্ত করেছেন। বিষয়টি তারা মীমাংসার দায়িত্ব নিয়েছেন এবং ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে এ ধরনের শিক্ষক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না থাকাই ভালো।

মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি এয়াকুব বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং বিষয়টি শিক্ষা অফিসার, এলাকার চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এমএইউ/এসএমএম