• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২, ২০১৯, ০৮:৪০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২, ২০১৯, ০৮:৪০ পিএম

পরাশক্তির দেশগুলো বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছে: নাসিম

পরাশক্তির দেশগুলো বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছে: নাসিম

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের প্রধান সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, উন্নয়নে বিস্তৃত সাফল্যের উপর ভর দিয়ে যে অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে সমগ্র বিশ্বের সকল অর্থনৈতিক পরাশক্তির দেশগুলো বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছে। 

বৃহস্পতিবার (০২ মে) আইডিইবি আয়োজিত জাতীয় উন্নয়ন সমৃদ্ধির জন্য পেশাজীবী-জনতার ঐক্য শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

আইডিইবির সভাপতি একেএমএ হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দীলিপ বড়ুয়া, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, জেপির মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশের কম্যুনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতিমন্ডলীর সদস্য প্রফেসর ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার। 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- আইডিইবির সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান।
 
মো. নাসিম বলেন, সমাজের সকল স্তরের মানুষ শেখ হাসিনার উন্নয়নের সুফল ভোগ করছে। উন্নয়নের গতিধারা যেভাবে এগিয়ে চলছে, তা অব্যাহত রাখতে মুক্তিযুদ্ধের সমমনা সকল রাজনৈতিক দল ও সংগঠনকে শেখ হাসিনার পাশে এসে দাঁড়াতে হবে। 

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বিশ্বে একমাত্র নেত্রী, যিনি বহু প্রতিকূলতা ডিঙ্গিয়ে পিতার সূচিত রাজনৈতিক আদর্শ ও দর্শনকে সামনে রেখে দেশ গড়ার ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

রাশেদ খান মেনন বলেন, ব্যাংক-পুঁজিবাজারে সংকট রয়েছে, বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেয়ার জন্য ঋণখেলাপীদের ঋণ মওকুফ করার পাঁয়তারা চলছে। এটা বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের সাথে সাংঘর্ষিক। মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম কৃষক-শ্রমিকের রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
 
হাসানুল হক ইনু বলেন, রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এটাকে টেকসই করতে হবে। নচেৎ উন্নয়ন টেকসই হবে না। সন্ত্রাস, জঙ্গি, মাদক, সাম্প্রদায়িকতা দমনে নতুনভাবে রাজনৈতিক চুক্তি করতে হবে। 

শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, আমাদের অহংকার করার মত অতীত আছে, বর্তমানও আছে, গৌরবময় ভবিষ্যতও গড়তে হবে। জেগে জেগে স্বপ্ন দেখলে হবে না, স্বপ্ন বাস্তবায়নে ঐক্যবন্ধ প্রতিশ্রুতি নিয়ে এগিয়ে যেত হবে। আব্দুর রহমান বলেন, অযৌক্তিক দাবি নিয়ে ঐক্য বিনষ্ট করার সুযোগ নেই। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ প্রতিষ্ঠিত হলেই শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। 

ডা. শহীদুল্লাহ সিকদার বলেন, বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় মুক্তিযুদ্ধের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দীলিপ বড়–য়া বলেন, উন্নয়নের জন্য সমষ্টিগত চিন্তাকে সামনে নিয়ে আসতে হবে। প্রধানমন্ত্রীকে জনগণের কাতারে নিয়ে আসতে হবে। 

স্বাগত বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান বলেন, সুশাসনের ভিত্তিতে দেশ এগিয়ে গেলে সকলের অধিকার সংরক্ষণের পাশাপাশি সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি, মাদক ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। 

সভাপতি একেএমএ হামিদ বলেন, দুর্নীতিই সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ, মাদক ও সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দেয়। এসব থেকে মুক্ত হতে পারলে মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে।

টিএস/বিএস