সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে নারীসহ ১০ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশান ব্যাটালিয়ান র‌্যাব-৭ এর সদস্যরা। এ সময় আবদুর রহমান (২৫) নামে এক দালালকে আটক করা হয়েছে। সে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ মাঝার পাড়ার ফজরুল হকের ছেলে। 

বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) রাত দেড়টার দিকে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ ঘোলারচর মাঝার পাড়া থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে ছয় জন নারীও রয়েছেন। তারা সবাই গত বছরের আগষ্টের পরে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে প্রাণ বাচাঁতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন।

মালয়েশিগামীরা হলেন- মো. জিয়া, রশিদ ইল্লাহ, নুর আলম, মো. জাবের, মো. মোকাদেছা, জান্নাত আরা, সেতেরা, জোলেখা, রোজিনা, সলিকা। তারা সবাই উখিয়া কতুপালং, জাদিমুরা, মৌচনী ও টেকনাফ রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানায়, উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গার অবস্থান। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় মানব পাচারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাচারকারীরা। দালালের মাধ্যমে রোহিঙ্গারা মালয়েশিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে সাগরে নেমে বিপদে পড়ছেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার র‌্যাপিড এ্যাকশান ব্যাটালিয়ান র‌্যাব-৭ এর ইনচার্জ মেজর মেহেদী হাসান জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলে শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা আবদুর রহমানের বাড়িতে ওই রোহিঙ্গাদের জড়ো করে রাখা হয়। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেজর মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে র‌্যাব-৭ এর একটি দল ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় দালাল বাড়ির মালিক আবদুর রহমানকে আটক করা হয়েছে।। 

উদ্ধার রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, একদিন আগে প্রলোভন দেখিয়ে ১০ হাজার টাকা করে নিয়ে তাদের সেখানে নিয়ে আসা হয়। তাদেরকে সাগরের একটি বড় ট্রলারে তুলে দেওয়ার কথা ছিল। মালয়েশিয়া পৌছার পর তাদের প্রত্যেকের আরও ২ লাখ করে টাকা দেওয়া কথা। রোহিঙ্গা নারীদের সেখানে বিয়ের কথা বলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এ সময় তাদের উদ্ধার করা হয়। 

এসসি/জেডএস