• ঢাকা
  • রবিবার, ১২ মে, ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০১৯, ০৮:৩৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৭, ২০১৯, ০৮:৩৯ পিএম

আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড

সিসিটিভি ফুটেজের দাবিতে ২ পুলিশ কর্মকর্তা অবরুদ্ধ

সিসিটিভি ফুটেজের দাবিতে ২ পুলিশ কর্মকর্তা অবরুদ্ধ

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ সিসিটিভি ফুটেজ দেখার দাবিতে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত দুই কমিশনারকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ফুটেজ পুলিশ আলামত হিসেবে জব্দ করেছে।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের দাবি, ওই ভিডিও ফুটেজ তারা দেখতে চান। শিক্ষার্থীদের শঙ্কা, আলামত হিসেবে জব্দ হওয়া ভিডিও ফুটেজ বেহাত হয়ে গেলে ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত ছাত্রলীগের নেতারা পার পেয়ে যেতে পারেন। কিন্তু আইনি বাধ্যবাধকতা থাকায় ওই আলামত হিসেবে জব্দ হওয়া ওই ভিডিও ফুটেজ শিক্ষার্থীদের হাতে দিতে চাইছে না পুলিশ।

সোমবার (৭ অক্টোবর) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণপদ রায় আবরার হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ায় ৮ জনকে আটক করার তথ্য জানিয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্য অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) আব্দুল বাতেন উপস্থিত ছিলেন।

প্রেস ব্রিফিং শেষ করে বের হতে চাইলে পুলিশের ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে শেরেবাংলা হল অফিসে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা প্রটোকলের সদস্যরা ওই দুই কর্মকর্তাকে হল অফিস থেকে বের করে আনতে চাইলে তারাও শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিয়ে প্রটোকলের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের হল অফিস এলাকা থেকে সরিয়ে দেন।

রাত ৮টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় ও আব্দুল বাতেন অবরুদ্ধ আছেন।

এর আগে ব্রিফিংয়ে কৃষ্ণপদ রায় জানান, ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ যাচাই ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য আমলে নিয়ে ছাত্রলীগের ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।

আটকরা হলেন- বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক ও নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একই বর্ষের মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, ছাত্রলীগ নেতা রবিন, মুন্না, তানভীরুল আরেফিন ইথান, অমিত সাহা, আল জামি।

আজ ভোর ৪টার দিকে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের উত্তর ব্লকের দ্বিতীয় তলার সিঁড়ি থেকে আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আবরার বুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া শহরের মুক্তিযোদ্ধা রোডে। বাবার নাম বরকত উল্লাহ।

সিসি টিভির ফুটেজ : নির্যাতনের পর ফাহাদকে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য

এইচ এম/টিএফ
 

আরও পড়ুন