মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, বহুল প্রতীক্ষিত নৃশংস হত্যাকাণ্ডের রায় নিম্ন আদালত ঘোষণা করেছেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসি হয়েছে।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দুপুর পৌনে ১২টায় রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন আইনমন্ত্রী।

আইনমন্ত্রী বলেন, এই রায়ে প্রমাণিত হলো, অপরাধী যেই হোক না কেন, সাজা তাকে পেতেই হবে। এ রায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় মাইলফলক। 
 

আনিসুল হক বলেন, আমরা আশা করবো, নিম্ন আদালতের রায় উচ্চ আদালতেও যেন তড়িৎগতিতে সম্পন্ন হয়। যে যত ক্ষমতাধর হোক না কেন, শেখ হাসিনার সরকার বিচার করবেই। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অতি দ্রুততম সময়ে নুসরাত হত্যার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধ পরিকর। 

সংবিধানের আলোকে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবেন জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাস করি। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শেখ হাসিনার উন্নয়ন টেকসই হবে। তিনি বলেন, নুসরাত হত্যা মামলায় ১৬ জনের মধ্যে ১২ জন স্বীকারোক্তি দিয়েছে। বিচারক মনে করেছেন, সবাই সমান অপরাধী, তাই ফাঁসির রায় দিয়েছেন। তিনি বলেন, রায়ের সাত দিনের মধ্যে হাইকোর্টে কাগজপত্র আসবে। কাগজপত্র এলে সুপ্রিম কোর্ট দ্রুত নিষ্পত্তি করবেন বলে আশা রাখি।                        

বিএস