• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০১৯, ০৮:১৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১৬, ২০১৯, ০৮:১৯ পিএম

‘পেঁয়াজ খাওয়া বন্ধ করতে হবে, তবেই সিন্ডিকেট ভাঙবে’

‘পেঁয়াজ খাওয়া বন্ধ করতে হবে, তবেই সিন্ডিকেট ভাঙবে’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় -ফাইল ছবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, পেঁয়াজের লাগামহীন দাম বাড়ার সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সরকার জড়িত। এর ফলে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিষয়ে কিছু করা যাচ্ছে না। তবে জনগণ ইচ্ছে করলে লাগাম টানতে পারেন। পেঁয়াজ খাওয়া বন্ধ করতে হবে, তবেই সিন্ডিকেট ভাঙবে। 

শনিবার (১৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী তাঁতি দল আয়োজিত ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’র আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকার সচেতন থাকলে জনগণের ভোগ্যপণ্য নিয়ে কোনো ব্যবসায়ী খেলা করার সাহস পেতো না। ব্যবসায়ীরা সবসময় লাভ খুঁজবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে দাম না বাড়ে। ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করেছে। কিন্তু অন্য দেশ থেকে দ্রুত সময়ে পেঁয়াজ আমদানি করা যেতো, যেটা সরকার পারেনি। সরকার ব্যবসাযীদের বড়লোক করতেই কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা এখন রাজপথ ভুলে গেছে। তারা রাজপথে এলে খালেদা জিয়াকে এতোদিন জেলে থাকতে হত না। তবে সরকারের জন্য, খালেদা জিয়াকে জেলে রাখা অনিবার্য ছিল। কেননা তাকে জেলে না রাখলে আওয়ামী লীগ ৩০ ডিসেম্বরের ভোট ২৯ তারিখ রাতে করার সাহস পেতো না। 

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, কোনো পরিবর্তনই প্রস্তুতি নিয়ে হয় না। মুক্তিযুদ্ধ প্রস্তুতি নিয়ে হয় নাই। ৭ নভেম্বর প্রস্তুতি নিয়ে হয় নাই। তাই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে রাজপথে নামতে হবে। 

জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু। বিশেষ অতিথি ছিলেন-বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আবদুস সালাম আজাদ, জাতীয় ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক, জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের সদস্য আব্দুর রহিম প্রমুখ।

টিএস/একেএস

আরও পড়ুন