• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০১৯, ০২:১৭ পিএম

টেকনাফে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ

টেকনাফে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ

 

পূর্ণিমার জোয়ারে গত দুই দিন ধরে টেকনাফ উপজেলায় জেলেদের জালে ধরা পড়েছে দেড়শ টন ইলিশ। ফলে দামও কমেছে ইলিশের।

টেকনাফ বাজার ও আড়ত ঘুরে দেখা যায়, নগরীর মাছের আড়ত ফিশারি ঘাটে বসেছে ইলিশের মেলা। আড়তে সাজিয়ে তা বাজারজাত করা হচ্ছে বিভিন্ন প্রান্তে। জেলেদের ধরা মাছ আড়তে তুলে হাঁক-ডাক দেওয়া হচ্ছে। নির্ধারিত দামে সেসব মাছ কিনে নিচ্ছেন ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকারি ক্রেতারা। এরপর দূর-দূরান্তে নেওয়ার জন্য ড্রামে সংরক্ষণ করা হচ্ছে মাছগুলো। জেলেদের হাত থেকে আড়তদার, সেখান থেকে পাইকার এবং বেপারিদের হাত ঘুরে এসব মাছ চলে যাচ্ছে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও ঢাকা, চাঁদপুর, বরিশাল, যশোরসহ দেশের বড় বড় আড়তে। তবে এবারে ৬০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশের মণ বিক্রি হচ্ছে ১৪ থেকে ১৬ হাজার টাকায়। তবে এর আগেরদিন একই মাছ ১৮ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছিল বলে জানায় মৎস্যজীবীরা। গত দুই দিনে টেকনাফ উপজেলায় দেড়শ টন ইলিশ মাছ (৩ হাজার ২৪০ মণ) জেলেদের জালে ধরা পরেছে।

মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে সমুদ্র থেকে ইলিশ বোঝাই নৌকা নিয়ে টেকনাফ শামলাপুল ঘাটে ফিরেছে মাঝি দিল আহমদ। তিনি বলেন, আমি বেশ খুশি, মাত্র দুই দিনের মাথায় নৌকা ভর্তি ইলিশে নিয়ে ফিরেছি। সেখান থেকেই আড়তে উঠানোর জন্য দুই লাখ টাকায় মাছগুলো কিনে নেয় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ এখলাছ।

মাছ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ এখলাছ বলেন, ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ায় এক দিনেই দাম কিছুটা কমেছে। দুদিন আগেও যেখানে ৬০০-৮০০ গ্রাম ওজনের প্রতি মণ ইলিশ ১৭-১৮ হাজার টাকা পাইকারি বিক্রি হতো, সেখানে তা এক ধাক্কায় ১৪-১৫ হাজার টাকায় নেমে এসেছে। তবে আগের তুলনায় অনেক দাম কমেছে।

টেকনাফ মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুল জলিল বলেন, সাগরে যেতে প্রতিটি ট্রলারে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়। এত দিন খালি হাতে ফেরত আসায় হতাশ ছিলাম, এখন খুব খুশি।

টেকনাফ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার বলেন, ‘গত দুই দিনে টেকনাফ উপজেলায় জেলেদের জালে দেড়শ টন ইলিশ মাছ ধরা পরেছে। তার মধ্যে একদিনে ধরা পরেছে ১২০ টন। প্রজনন সময়ে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকায় পরিণত বয়স হয়েছে এসব মাছের, আকারও হয়েছে বেশ বড়। জোয়ার বাড়ার কারণে সাগরে মাছ ডিম ছাড়তে উজানে আসছে। তাই জেলেদের জালে ধরা পড়ছে প্রচুর। ভবিষ্যতে জাটকা ও প্রজননের সময় এভাবে মাছ ধরা বন্ধ থাকলে আমাদের জাতীয় উন্নয়নে আরও জোরালো ভূমিকা রাখবে ইলিশ।

এসসি/