• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৯, ০৯:১৪ পিএম

‘প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষার মাধ্যমেই হবে দেশের উন্নয়ন’

‘প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষার মাধ্যমেই হবে দেশের উন্নয়ন’
সিংড়ায় চলনবিল শিক্ষা উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন জুনাইদ আহমেদ পলক –ছবি : জাগরণ

 

আমরা প্রযুক্তি নির্ভর মেধাভিত্তিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই। প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষার উন্নয়ন ও বিস্তার ঘটিয়ে এ লক্ষ্য অর্জনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে সরকার বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। 

রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সিংড়া উপজেলা কোর্ট মাঠে চলনবিল শিক্ষা উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

এ সময় সিংড়া উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপজেলার কৃতি শিক্ষার্থী, শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, মরণোত্তর গুণীজন, রত্নগর্ভা মা, সফল মানুষসহ নয়টি ক্যাটাগরিতে মোট ৮১০ জনকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ‘শিক্ষার মান উন্নয়নে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। বছরের প্রথম দিনে সাড়ে চার কোটি শিক্ষার্থীর হাতে পাঠ্যবই পৌঁছে দেয়া হয়েছে। অবৈতনিক শিক্ষা ও উপবৃত্তির পরিধি বৃদ্ধি করা হয়েছে। সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আধুনিক অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপনের পাশাপাশি সারাদেশে শেখ কামাল আইটি অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার এবং আইটি পার্ক স্থাপন করা হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রযুক্তি ভিত্তিক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী আত্মনির্ভরশীল হচ্ছে। আগামী ২০২১ সাল নাগাদ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। সরকার উন্নত দেশের সকল সুবিধা ও বিনিয়োগ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে প্রদান করছে।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। দেশের সকল ইউনিয়নের প্রতিটিতে ৯০ লাখ টাকা খরচ করে অপটিক্যাল ফাইবার কেবল সংযুক্ত করে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধা সকল গ্রামে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলোতে অনলাইন সেবা চালু করাতে জনদুর্ভোগ কমেছে। এসব কেন্দ্রে পর্যায়ক্রমে দুই হাজার ৯০০টি সেবা প্রদান করা হবে। শহরের সঙ্গে গ্রামের ব্যবধান কমিয়ে এনে সকল গ্রামকে আমরা শহরের সুবিধা দিতে চাই। এ জন্যে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধার পাশাপাশি সকল গ্রামে বিদ্যুৎ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সড়ক যোগাযোগ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে ।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতো সভা প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওহিদুর রহমান শেখ এবং সাবেক অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম। 

এনএ